আসন্ন রাখীবন্ধন উৎসবের জন্য গোবর দিয়ে রাখী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন ছত্তিশগড়ের ধামতারি জেলার মহিলারা।
প্রায় ১০০ জন মহিলা প্রতিদিন রাখীর জন্য গোবরের ডেলা তৈরি করছেন। ১০ জন মহিলা সেই ডেলায় পুঁতে দিচ্ছেন বিভিন্ন বীজ। বাকিরা বীজ-সহ ডেলাটি রং করছেন। আর একদল বাঁশের কঞ্চি দিয়ে রাখির উপরে ছোট্ট কাঠামো তৈরিতে ব্যস্ত। সেই কাঠামোর উপরে ডেলাটি বসানোর পরে রাখীতে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বাঁধার জন্য বাঁশের আঁশের সুতো। সবকিছু সম্পূর্ণ হলে হাতে তৈরি কাগজের থলি বা কাপড়ের পুঁটলিতে ভরে রাখা হচ্ছে রাখীগুলি।
ধামতারি জাতীয় গ্রামীণ মহিলা রোজগার যোজনার অন্তর্গত মহিলাদের স্বাবলম্বী করার এই উদ্যোগ চালু করেছে চিপলি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আর্য প্রেরণা সমিতি।
প্রকল্পের প্রশিক্ষক উমা দেবী জানিয়েছেন, ‘উৎপাদন থেকে প্যাকেজিং, সমগ্র প্রক্রিয়াটিতে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শামিল হয়েছেন দুই গ্রামের প্রায় ২০০ নারী। যে সাড়া আমরা পেয়েছি, তার ভিত্তিতে এবার বিশেষ করোনা যোদ্ধা রাখী তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই রাখীতে থাকছে জাতীয় পতাকার তিনটি রং, রেড ক্রস এবং স্বচ্ছতার প্রতীক-সহ অন্যান্য মোটিফ যা বিভিন্ন বিভাগ ও ক্লাবের উপযোগী হবে।’
বীজ বিনে দেওয়া গোবরের তৈরি রাখীর পরিকল্পনাটির স্রষ্টা দুই নারী- দুর্গেশ নন্দিনী এবং মঞ্জু চন্দ্রকার। মঞ্জু জানিয়েছেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় নিত্যকাজে ব্যবহার করা হয় গোবর। যে কোনও পালা-পার্বনে পবিত্র হিসেবে গোবরের চাহিদা রয়েছে। বীজ বপনের ভিত মাধ্যম হিসেবে তা ব্যবহার করার ধারণাটি নতুন, যা সুপ্রচুর পরিমাণে লভ্য এই পণ্য আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে প্রয়োগ করলে একগুচ্ছ সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়।’
রাখীর দাম রাখা হয়েছে ৪০ থেকে ১০০ টাকা প্রতি পিস। করোনা যোদ্ধাদের প্রতি বিশেষ সম্মান দেখাতে ত্রিবর্ণ, রেড ক্রস ও স্বচ্ছতা রাখীগুলির প্রতিটির দাম ধরা হয়েছে ২০ টাকা, এ ছাড়া যুক্ত হবে ক্যুরিয়ার চার্জ। পরিকল্পনা সফল হলে প্রত্যেক মহিলা মাসে ১০,০০০ টাকা আয় করতে সক্ষম হবেন, জানিয়েছেন উমা।