করোনা অ্যাক্টিভ কেসে দুই থেকে নবম স্থানে দিল্লি, প্রথম পাঁচের দোড়গোড়ায় বাংলা
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 26 Jul 2020, 03:31 PM ISTএই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসে ছয় নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।
এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসে ছয় নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।
জুলাইয়ের শেষে দিল্লিতে হয়তো সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন। দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোধিয়ার এই কথায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় জুনের শুরুতে। একযোগে দিল্লি সরকার, কেন্দ্র ও পৌরনিগমগুলি কাজ করে। জুলাই প্রায় শেষ। এই মুহূর্তে দিল্লিতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা মাত্র ১২,৬৫৯। ৮০ শতাংশ বেড খালি রাজধানীতে। করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে অনেকটাই এখন প্রস্তুত রাজধানী।
তার প্রভাব পড়েছে রাজ্যগুলির ক্রমতালিকায়। মোট কেসে এখনও তিন নম্বরে দিল্লি। কিন্তু অ্যাক্টিভ কেসের তালিকায় নবম স্থানে নেমে এসেছে দিল্লি। এই নিয়ে সন্তুষ্ট দিল্লি সরকার। কিন্তু আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই বলেই জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। খুব দ্রুতই এই ট্রেন্ড যে বদলে যেতে পারে, সেটা নিয়ে সম্যক অবিহিত তিনি।
অন্যদিকে কিছু রাজ্যে দ্রুত বাড়ছে কেস লোড। এর মধ্যে অন্যতম হল কর্নাটক, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ। মোট কেসের সংখ্য়ায় চার নম্বরে থাকলেও অ্যাক্টিভ কেসে তামিল নাড়ুকে (৫২২৭৩) পেরিয়ে এখন দুই নম্বরে কর্নাটক(৫৫৩৮৫)। তবে লকডাউন সেখানে আর বাড়াবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা।
কেস লোডে পঞ্চম স্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২২৪৫২)। তার ঠিক পরেই পশ্চিমবঙ্গ (১৯৩৯১)। দুই রাজ্যেই কেন্দ্রের পরামর্শ মতো টেস্টিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে প্রতি সপ্তাহান্তে দুই দিন লকডাউন চলছে। বাংলায় প্রতি সপ্তাহে দুই দিন করে লকডাউন চলবে বলে জানানো হয়েছে।
অ্যাক্টিভ কেসের নিরিখে প্রথম দশটি রাজ্য হল- মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, তামিল নাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাত, তেলেঙ্গানা, দিল্লি ও বিহার।
এই সপ্তাহে রাজীব গৌবা নয় রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বাস্থ্যসচিবকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেখানে পাঁচটি নিদান দেয় কেন্দ্র অ্যাক্টিভ কেস কমানোর ক্ষেত্রে। উপস্থিতি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিরাও। কেন্দ্রের দেওয়া পরামর্শ অনুযায়ী রাজ্য সফল হয় কিনা, এখন সেটাই দেখার।