কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের ব্যবধান ১০ মাস হলে তা আরও করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী হবে। সোমবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। আপাতত ভারতে কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে রয়েছে।
অক্সফোর্ডের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর ফলে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গবেষণাপত্রে তৃতীয় ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর যদি তৃতীয় ডোজ নেওয়া হয়, তা আরও কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন গ্রহীতার করোনার বিভিন্ন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৬৮টি দেশে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাকসিন ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মোট ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবককে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১০ মাস পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চলতি বছরের মার্চ মাসে ৯০ জনকে তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে এখন ভ্যাকসিনের জোগানের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে চিনে এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর ৩৯ লাখ ২৫ হাজার ৮১৬ জন মানুষের এই মহামারীতে মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৮ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৭৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, সরকারি হিসাব মতো যত জন করোনায় আক্রান্ত বলে দেখা যাচ্ছে, তার থেকেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়ত ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি হবে। গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ২৫ হাজার ১২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬,৭৪৩ জনের।