ট্রলি ব্যাগের মধ্যে পাচার করা হচ্ছিল বন্যপ্রাণী। বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক আগেই শুল্ক দফতরের তৎপরতায় ধরা পড়ল সেই পাচারকারী। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে ওই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছেন শুল্ক দফতরের গোয়েন্দারা। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একাধিক বন্যপ্রাণী। যার মধ্যে ছিল একটি কাঙারু শাবক। তবে ওই কাঙারু শাবক মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন আধিকারিকরা। ট্রলি ব্যাগের মধ্যে রাখার ফলে শ্বাস রোধ হয়ে ওই শাবকটির মৃত্যু হয়েছে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে ওই পাচারকারীর কাছ থেকে ২৩৪ টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি থেকে তিন ক্যাঙারু শাবক উদ্ধার, ভেস্তে গেল পাচারের ছক
উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণী গুলির মধ্যে রয়েছে অজগর, ক্যামেলিওয়ন, ইগুয়ানা, কচ্ছপ, অ্যালিগেটর। সোমবার ব্যাঙ্কক থেকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে আসে ওই পাচারকারী। এরপর তাকে দেখেই সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। বিমানবন্দরের বাইরে যাওয়ার আগেই তাকে আটকে ফেলেন গোয়েন্দারা। এরপর ট্রলি ব্যাগ খুলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় গোয়েন্দাদের। একজন কর্মকর্তা বলেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কাঙারু শাবককে বাঁচানো যায়নি। সেটি দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। যে প্রাণীগুলি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে একাধিক প্রাণী বিলুপ্তপ্রায়। অভিযুক্তকে শুল্ক আইনের ১০৪ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বন্য প্রাণীগুলি শুল্ক আইনের ১১০ ধারা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।বন্যপ্রাণী গুলিকে উদ্ধার করে নিরাপদে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেঙ্গালুরু কাস্টমসের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পাচারকারী তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তদন্তকারীরা তার ট্রলি খুলতে দেখতে পান প্লাস্টিকের প্যাকেটে মধ্যে বন্যপ্রাণীগুলিকে রাখা হয়েছে। যদিও বন্যপ্রাণী পাচারের কথা অস্বীকার করেছে ওই অভিযুক্ত। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, সন্দেহভাজন ব্যক্তি দাবি করেছে যে ট্রলির ভিতরে কী রয়েছে সে সম্পর্কে তার কোনও ধারণা ছিল না। ট্রলিটি তাকে ব্যাঙ্ককে হস্তান্তর করা হয়েছিল এবং সেটি বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাচার চক্র জড়িত রয়েছে। কারা ওই ট্রলি ব্যাগ ওই ব্যক্তিকে হস্তান্তর করেছিল? এই পাচারের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত? তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।