দিল্লিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করতে বৃহস্পতিবার ‘অপারেশন শিল্ড’ চালু করলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক অভিযান সম্পর্কে তথ্য।
‘শিল্ড’ বা ঢাল শব্দের অর্থ এক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন, সংক্রমণের অনুসন্ধান, জরুরি সরবরাহ, স্থানীয় স্যানিটাইজেশন এবং বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরীক্ষা পদ্ধতি।
দিল্লির যে সমস্ত এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেশি মাত্রায় দেখা দিয়েছে, সেখানে এই অভিযান চালানো হবে।
দিল্লির ২১ এলাকাকে তীব্র সংক্রামিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করার পরে সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত এলাকায় প্রবেশ ও সেখান থেকে প্রস্থান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমস্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের বাসভবনে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় থাকতে হবে এবং তাঁদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হবে।
সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তা খুঁজে বের করা হবে।
সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার কারণে এই সমস্ত এলাকায় প্রতিটি বাড়িতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হবে।
এই সমস্ত এলাকা নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হবে।
প্রতিদিন প্রতিটি বাড়িতে ঘুরে এই এলাকার বাসিন্দাদের পরীক্ষা করবেন ৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী। দেখা হবে, কারও Covid-19 এর উপসর্গ রয়েছে কি না।
অপারেশন শিল্ড আরোপ করা হচ্ছে দিল্লির মালব্য নগর, বাঙালি মার্কেট, সঙ্গম বিহার, ময়ূর বিহার, দ্বারকা, নিজামুদ্দিন, বসুন্ধরা এনক্লেভ, দিলশাদ গার্ডেন, পাটপড়গঞ্জ, দিনপুর ভিলেজ, জাহাঙ্গিরপুরী, কল্যাণপুরী, খিচড়িপুর, পাণ্ডব নগর, কৃষাণ কুঞ্জ এক্সটেনশন, ওয়েস্ট বিনোদ নগর, সীমাপুরী, দিলশাদ কলোনি ও ঝিলমিল কলোনিতে।