করোনা পরিস্থিতি। অর্থনীতি নিম্নগামী। তবে এই শব্দগুলি যে সবার জন্য নয়, তা বলাই বাহুল্য। আর তা আরও বেশি স্পষ্ট পাটনার ধনতেরাসের ছবি থেকে। ধনতেরাসে কেনাকাটায় চনমনে সেখানকার বাজার। যানবাহন, গহনা, ইলেকট্রনিক্স, বাসনপত্রের বাজারে ছেয়ে গিয়েছে ক্রেতা। বিক্রি হল ৮৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের নেকলেস।
ধনতেরাস উপলক্ষ্যে রাঁচির এক শোরুম থেকে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার BMW-ও কিনেছেন পাটনার এক বাসিন্দা। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, ধনতেরাসের দিনে পাটনার বাসিন্দারা ১,১০০ কোটি টাকারও বেশি কেনাকাটা করেছেন।
সোনার বিস্কুট কিনতেও আগ্রহ ছিল ক্রেতাদের। বোরিং রোডে অবস্থিত এক জুয়েলারি শোরুমে ১ কেজি ওজনের সোনার বার বিক্রি হয়। এর মূল্য ছিল ৫২ লক্ষ টাকা। ফ্রেজার রোডে তানিস্কের শোরুমে ২২ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি হীরের সেট বিক্রি হয়েছে। শোরুমের ম্যানেজার উমেশ টেকরিওয়াল জানান, ২২ লাখ টাকার নেকলেস ছাড়াও ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার অনেক নেকলেসও বিক্রি হয়েছে। সোনার আংটি, ঝুমকা, চেন এবং আঙুলের আংটিও দেদার বিক্রি হয়েছে।
মাত্র একদিনেই পাটনার গাড়ির বাজার ফাঁকা করে দিয়েছেন ক্রেতারা। এদিনের সবচেয়ে দামি গাড়িটি কেনা হয়েছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের রাজধানী রাঁচি থেকে। রাঁচির বিএমডব্লিউ শোরুম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাটনার এক ব্যবসায়ী ১.৩৫ কোটি টাকার একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি কিনেছেন। এছাড়া এদিন পাটনায় ১ হাজারেরও বেশি গাড়ি এবং ২ হাজারের বেশি টু-হুইলার ডেলিভারি দেওয়া হয়। আনুমানিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকার গাড়ি এদিন বিক্রি হয়।