এতদিন টেনিস কোর্টে সাবলীন ছিলেন লিয়েন্ডার পেজ। রাজনীতির আঙিনায় সরাসির তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে সেই টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজই শুক্রবার গোয়ায় যোগ দিলেন তৃণমূলে। এবার বাংলায় ভোটের আগে তৃণমূলের মূল স্লোগান ছিল খেলা হবে। তবে সেই খেলা যে এখনও ফুরিয়ে যায়নি সেকথাই গোয়ার মাটিতে এদিন কার্যত জানান দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে এদিন প্রথমবারের জন্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কোর্টে খেলতে নেমে টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের উপলব্ধি, ‘দিদি সত্য়িকারের চাম্পিয়ন।’ দিদির পাশে দাঁড়াতে এদিন গোয়ার মাটিতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন লিয়েন্ডার।
এদিন টেনিস তারকা বলেন, 'আজ অবসরের পর আমি চাইব এক মহিলা যিনি বিপুল সাহসে এগিয়ে চলেছেন তাঁর পাশে দাঁড়াতে। আমি চাইব রাজনীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবা করতে। সেকারণে আমি দিদির সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছি। আমার কাছে দিদি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র। এ দেশে জাত ধর্ম বর্ণের ভিত্তিতে কোনও বিভাজন তৈরি করা যায় না। আমি সেই বৃহত্তম গণতন্ত্রের একটা অংশ হতে চাই। কাজ করতে চাই। সেই কাজে দিদির পাশে দাঁড়াতে চাই।'
যে লিয়েন্ডার ১৮টি গ্র্য়ান্ডস্ল্যাম ও একটি অলিম্পিক্স মেডেল জিতেছিলেন। গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে টেনিস তারকা হিসাবে। সেই লিয়েন্ডারই তুলে আনলেন সেই ১৯৯১ সালের কথা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে লিয়েন্ডার বলেন, ‘১৪ বছর বয়সে যখন ভারতের জন্য় টেনিস খেলতে গিয়েছিলাম তখন দিদি ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। সব সময় তিনি উৎসাহ দিতেন। মন্ত্রী হিসাবে তিনি সবসময় পাশে থাকতেন।’