আক্রমণের জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন দায় স্বীকার করেনি। মঙ্গলবার রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে রাশিয়ার অভিযোগ। রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের ওই বিমানঘাঁটিতে হামলার পর তেলের ট্যাঙ্কে আগুন লেগে যায়। তবে রাশিয়া জানিয়েছে, ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এই হামলার জন্য রাশিয়া ফের ইউক্রেনকে দায়ী করেছে।
বস্তুত, একদিন আগেই রাশিয়ার ভিতরে দুইটি সেনাঘাঁটিতে ড্রোন হামলা হয়েছিল। ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছিল। আহতরা এখনো হাসপাতালে। ওই আক্রমণের জন্যও রাশিয়া ইউক্রেনকে দায়ী করেছিল। কিন্তু ইউক্রেন তা-ও মানতে রাজি হয়নি। বস্তুত, ওই হামলার পরেই সোমবার ইউক্রেন-জুড়ে একের পর এক মিসাইল আক্রমণ করে রাশিয়া।
এদিনের ঘটনার পর ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। বস্তুত, রোববার রাশিয়ার দুইটি সেনাঘাঁটিতে আক্রমণ নিয়েও একই কথা বলেছিল তারা। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস দাবি করেছিল, ইউক্রেনের এক সেনাপ্রধান তাদের জানিয়েছে, রাশিয়ার সেনাঘাঁটিতে তারাই আক্রমণ চালিয়েছিল। যদি সত্যিই ইউক্রেন ওই হামলা চালিয়ে থাকে, তাহলে এখনও পর্যন্ত এটিই রাশিয়ার অতটা ভিতরে ঢুকে ইউক্রেনের প্রথম হামলা। বস্তুত, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই হামলা চালানো হয়। রাশিয়ার এঞ্জেলস এয়ারফিল্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেনাঘাঁটি। পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ টিইউ-৯৫ এবং টিইউ-১৬০ বম্বার্স আছে সেখানে।
আমেরিকার প্রতিক্রিয়া
মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণ করে থাকলে আমেরিকা তা সমর্থন করে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'সীমান্ত পেরিয়ে আক্রমণের জন্য আমরা ইউক্রেনকে সাহায্য করছি না। আমরা এ ঘটনা সমর্থনও করছি না।' তার ভাষায়, 'আমরা কেবলমাত্র ইউক্রেনের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ে সাহায্য করছি।'
আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেন যাতে তার স্বাধীন দেশের সার্বভৌম জমি রক্ষা করতে পারে, আমেরিকা তার জন্য সবরকম সাহায্য করবে। কিন্তু সীমান্ত পার করে আক্রমণকে সমর্থন করবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু রাশিয়া দাবি করেছে, তারা প্রমাণ করে দিতে পারে যে ইউক্রেন এই হামলা চালিয়েছে।