রাস্তার ধারে ড্রাগের কারবারের অভিযোগ। সহজেই আয়ের আশায় মহিলারাও যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন এই ড্রাগের অবৈধ কারবারের সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত দেড় মাসে অসমের বরাক উপত্যকা থেকে শতাধিক ড্রাগ কারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বরাক উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় একেবারে রাস্তার ধারের দোকানে বিড়ি, সিগারেট, গুটখার সঙ্গেই অবাধে ড্রাগ বিক্রি হয় বলে অভিযোগ। গত ২৬শে মার্চ শিলচর সফরকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বরাক ভ্য়ালির জন্য পৃথক নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো খোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছিলেন। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, এলাকার প্রচুর যুবক ড্রাগের নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এটা কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পৃথক নারকোটিক কন্ট্রোল ডিপার্টমেন্ট খোলা দরকার। এদিকে একাধিক আন্তর্জাতিক সীমানা দিয়ে ঘেরা বরাক ভ্য়ালি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ড্রাগ পাচারের একটা কমন রুট আছে অসমে। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে ড্রাগ পাচারের জন্য মিজোরাম, মণিপুর, অসম, ত্রিপুরার বিভিন্ন পয়েন্টকে ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে এই পাচারের স্বর্গরাজ্য হিসাবে মনে করা হয় বরাক ভ্যালিকে।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার মায়াঙ্ক কুমার ঝা বলেন, ‘ড্রাগ পাচারের চেষ্টার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্ডার এলাকাগুলো এই পাচারের হটস্পট।বিএসএফের সঙ্গে পুুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রচুর ড্রাগ বাজেয়াপ্ত করেছে।’