মাদ্রাজ হাইকোর্টের 'খুনের মামলা' পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে গিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ যাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না করা হয়, সেই আবেদনও জানা হয়। তবে সংবাদমাধ্যমের উপর খাড়া নামিয়ে আনতে চায়নি কমিশনেরই একাংশ।
এদিকে সুপ্রিমকোর্টে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিরুদ্ধে আবেদন নিয়ে মুখ পোড়ে কমিশনের। এরপরই এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়, 'কমিশন স্পষ্ট করে বলতে চায় যে এটি মুক্ত গণমাধ্যমের প্রতি বিশ্বাস রাখে এবং এর প্রতি আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কমিশন সামগ্রিকভাবে বিশ্বাস করে যে সব নির্বাচন পরিচালনা এবং দেশের গণতন্ত্রকে জোরদার করতে গণমাধ্যমের ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।'
আর এরপরই উঠেছে প্রশ্ন। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বস করলে সুপ্রিমকোর্টে কেন সেই আবেদন করা হয়েছিল? সূত্রের খবর, মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সার্বিক ভাবে নেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, বর্তমানে দায়িত্বে থাকা দুই নির্বাচন কমিশনারের একজন মাদ্রাজ আদালতের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। উল্লেখ্য, তিন সদস্যের কমিশনে এখন একটি পদ ফাঁকা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে রয়েছেন সুশীল চন্দ্র। অপর কমিশনার পদে রয়েছেন রাজীব কুমার।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ রাজ্যের ভোটের সময় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত তুলোধনা করেছিলেন নির্বাচন কমিশনকে। করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য কমিশনকেই দায়ি করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত। মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হয় কমিশন।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের সেই পর্যবেক্ষণ নিয়ে কমিশনের বক্তব্য ছিল, কোভিড বৃদ্ধির জন্য কমিশনকে দায়ি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল, আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণের খবর করা থেকে বিরত থাকুক সংবাদমাধ্যম।