প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে পাঠালেন ছাত্রীরা। গাজিয়াবাদের একটি স্কুলের ছাত্রীরা এইভাবে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছেন। আর সেই চিঠি পেয়েই ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী অভিযোগ প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে?
লাইভ হিন্দুস্তানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ওই প্রিন্সিপাল ছাত্রীদের শরীরে একটু অন্যভাবে স্পর্শ করতেন। ওই প্রিন্সিপালের বয়স ৫১ বছর।
একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিল ছাত্রীরা। এমনকী ছাত্রীদের অভিযোগ প্রিন্সিপাল তাদের জামাকাপড় নিয়ে নানা কথা বলতেন। এমনকী জামা ঠিক করে দেওয়ার নাম করে তিনি শরীরে হাত দিতেন বলে ছাত্রীদের অভিযোগ।
ছাত্রীদের দাবি যখনই প্রিন্সিপাল ক্লাসে আসতেন তখনই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকত ছাত্রীরা। গত ২১ অগস্ট এক ছাত্রীকে তাঁর কেবিনে ডেকে পাঠান প্রিন্সিপাল। এরপর মেয়েটি অত্যন্ত ভয় পেয়ে যায়। সে তার অভিভাবকদের বলে প্রিন্সিপাল আমার জামার বোতাম খুলেছিলেন। এরপর স্পর্শ করার অভিযোগ।
একথা শুনে ছাত্রীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা শিক্ষকদের ঘটনাটা জানায়। কিন্তু তারা পাত্তা দেননি। তাঁরা পরামর্শ দেন এরপর হলে অভিযোগ করবে।
ছাত্রীদের দাবি পুলিশকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। পুলিশ অভিযোগটিকে গুরুত্বই দেয়নি। এরপরই যোগীর কাছে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখেন তারা। সেখানে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তারা করেছেন। এরপরই যোগী এনিয়ে কড়া নির্দেশ দেন। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হয়।