বৃহস্পতিবার ভারতীয় বাজারে সোনা ও রুপোর দাম কিছু বৃদ্ধি পেলেও অগস্ট মাসের দরের তুলনায় এখনও বেশ কিছুটা পিছিয়ে থাকল।
এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.১৭% বৃদ্ধির জেরে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম দাঁড়াল ৪৮,৫৯৪ টাকা। পাশাপাশি, সূচকে ০.৩৪% বৃদ্ধির জেরে প্রতি কেজি রুপোর দাম দাঁড়াল ৬০,০৪৫ টাকা। গত অধিবেশনে সোনার দাম সামান্য পড়লেও সূচকে রুপোর দাম বে়ড়েছিল ০.২৫%।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি ফাইজার, মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তৈরি কোভিড ভ্যাক্সিনের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরে তা সোনার দামে প্রভাব ফেলেছে।
এ পর্যন্ত চলতি সপ্তাহে ভারতে সোমার গ্রাম প্রতি ১০ গ্রামে ১,৬০০ টাকা কম যাচ্ছে। গত অগস্ট মাসে এই দাম ৫৬,২০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রােম বৃদ্ধির জেরে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক বাজারে বিশ্বজুড়ে কোভিড ঝুঁকির মধ্যেও সামান্য উত্থান ঘটেছে সোনার দামে। এ দিন স্পট গোল্ড সূচকে ০.১%উত্থানের জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ১,৮০৯.৭৪। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকায় করক্মসংস্থানের হতাশাজনক খথতিয়ান প্রকাশ এবং নতুন করে কোভিড অতিমারীর প্রকোপের জেরে সোনার দাম কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে। একই কারণে সূচকে ০.২% বৃদ্ধির জেরে প্রতি আউন্স রুপোর দাম যাচ্ছে ২৩.৩৫ ডলার।
কোটাক সিকিওরিডিজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘সোনার দামের উপরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে ইটিএফ-এর মজুত সোনার পরিমাণ হ্রাস পাওয়া। অর্থাৎ সোনায় বিনিয়োগ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন লগ্নিকারীরা। নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগের চাহিদা হ্রাস পাওয়া, লগ্নিকারীদের আগ্রহে ভাটা পড়া এবং আউন্সপ্রতি ১,৮৫০ ডলার দামের সুরক্ষাগন্ডিতে চিড় ধরার মতো একাধিক কারণে সোনার দাম প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি পাচ্ছে না।’
মঙ্গলবার বিশ্বের বৃহত্তম ইটিএফ এসপিডিআর গোল্ড ট্রাস্টে মজুদ সোনার পরিমাণ ০.৪% হ্রাস পেয়ে ১,১৯৯.৭৪ টনে এসে দাঁড়ায়।