একে অপরের অংশীদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে হয়তো কিছুটা ভিন্নমত রয়েছে। তবে তার চেয়ে ঢের বেশি মিল-ই রয়েছে দুই দেশের। দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও নীতিগত দৃষ্টি একইরকম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে তাই জো বিডেনের দৃষ্টিভঙ্গিকেই সমর্থন করবেন। আর এর ফলে দুই দেশের এই একতা আরও দৃঢ় হবে। এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে এমনই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের নিরিখে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে কাছের দুই দেশ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আরও পড়ুন: এবার ভারতের হাতে আসবে সোলেমানি-জাওয়াহিরিকে খতম করা MQ-9B ড্রোন, জানুন বৈশিষ্ট্য
আর সেই কারণেই আসন্ন সফর নিয়ে বেশ আশাবাদী মার্কিন কর্তারা। তাঁদের ধারণা, মোদী-বিডেন আলোচনায় যে শুধুমাত্র GE F414 জেট ইঞ্জিন চুক্তিই এগোবে, তা-ই নয়। এর পাশাপাশি টেলিকম, সেমিকন্ডাক্টর ইত্যাদি প্রযুক্তি সহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়েও নতুন করে ভাবা হতে পারে। তাছাড়া পারমাণবিক সহযোগিতা, বাণিজ্য, মহাকাশ, উচ্চশিক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম এবং মাদকবিরোধী লড়াইয়েও দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও গভীর হতে পারে। উভয় দেশেরই এই ক্ষেত্রগুলির বিষয়ে একটি একমুখী স্পষ্ট ধারণা রয়েছে।
উভয় পক্ষই আন্তর্জাতিক মঞ্চে 'স্বচ্ছতা এবং বাকস্বাধীনতা'র সবচেয়ে বড় দাবিদার। আসন্ন বৈঠকে সেই নিয়েও আলোচনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, ভারতে একটি সেমিকন্ডাক্টর উত্পাদন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা হবে। আর সেটির স্থাপনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে। এর পাশাপাশি মাইক্রন গুজরাটে পরীক্ষাগার এবং প্যাকেজিং উৎপাদন কেন্দ্রে একটি বড় বিনিয়োগের ঘোষণাও করতে পারে। দু'টি মার্কিন সংস্থা কর্মী প্রশিক্ষণের জন্য একটি বড় ফেসিলিটি চালু করবে বলে জানা গিয়েছে। হাজার-হাজার ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে বদলাতে থাকা প্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য তালিম দিয়ে নেওয়া হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 5G-র জন্য ওপেন রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক (ORAN) এবং তারপরে নির্বাচিত ভারতীয় শহরে 6G-র তোরজোড় শুরুর ঘোষণা করা হবে। ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কর্পোরেশন সম্ভবত এই পাইলট প্রকল্পের অর্থ প্রদান করবে। আসলে টেলিকম সেক্টরে চিনের হুয়াওয়ের আধিপত্য মোকাবিলা করতেই এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এত বেশি আগ্রহ। অন্য দেশদের তাই শক্তিশালী হতে সহায়তা করছে তারা। আরও পড়ুন: চরমে দ্বন্দ্ব, এরই মাঝে চিনে পা রাখলেন মার্কিন বিদেশ সচিব ব্লিনকেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতে আরও কনস্যুলেট খোলার ঘোষণা করা হতে পারে। এর ফলে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক গভীর করতে সহায়তা করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুনরায় H1B ভিসা জারি করার অনুমতি দিতে পারে।