মায়ানমারে সেনাবাহিনীর অত্যাচার বেড়েই চলেছে। আর তাতে বারবার রক্তে ভিজছে সেখানকার মাটি। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমনকী ভারতের পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রতিবাদ করা হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হোক। কিন্তু শনিবারই জুন্টার গুলিতে প্রাণ হারালেন ৫ জন। এই নিয়ে দু’মাসে ৫০০–এরও বেশি মানুষকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ারমার সেনাদের বিরুদ্ধে।
এখানে আন সান সু কি–কে সরিয়ে দিয়েছে দেশের সেনাবাহিনী। তারপরেই তাদের অভ্যুত্থানে একের পর এক মানুষ মারা যেতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলেই চলছে গুলি। এই বিষয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার। যে কোনও ধরনের হিংসার আমরা প্রতিবাদ করছি। আমার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার উপর বিশ্বাসী। আমরা মায়ানমারে গণতন্ত্র ফেরানোর পক্ষেই দাঁড়াচ্ছি।’
শনিবার তিনটি বিক্ষিপ্ত জায়গায় গুলি চালানোর ঘটনায় মোট ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। তার মধ্যে মনিওয়াতেই মারা গিয়েছেন তিন জন। এছাড়াও বাগো ও থাটন নামের অন্য দুই জায়গায় একজন করে আরও দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরে রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
রাষ্ট্রপঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের ভারতের স্থায়ী সদস্য টিএস টিরুমূর্তি জানান, এই হিংসার তীব্র বিরোধিতা করছি। তাঁর বক্তব্য, ভারত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আর সেখানে যাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু হোক। আটক নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হোক মায়ানমারে। এই হিংসার পরিবেশে মায়ার থেকে বাসিন্দারা ভারতে চলে আসছেন বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।