পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করা হল প্রথম কে-৯ বজ্র হাউইৎজার কামান। বাহিনী সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন রুখতে ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক হাউইৎজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে সংবাদ সংস্থার টুইট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লাদাখের পার্বত্য ভূমিতে ছুটে যাচ্ছে K-9 Vajra। চিনের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে প্রস্তুত এই অত্য়াধুনিক কামান।
এবার একঝলক দেখে নেওয়া যাক ঠিক কতটা শক্তিশালী এই কামান। কীভাবে অব্যর্থ নিশানায় শত্রু ঘাঁটি উড়িয়ে দিতে পারে এই অত্য়াধুনিক কামান। সূত্রের খবর, প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রু ঘাঁটিকে টার্গেট করতে পারে এই কামান। ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের কামান সেনার হাতে তুলে দিয়েছিল। কেন্দ্রের ভারত নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গুজরাতে লারসেন অ্যান্ড টুবরোর কমপ্লেক্সে তৈরি হয়েছে এই অত্যাধুনিক কামান। ১৫৫ মিমি/৫২ ক্যালিবারের এই গানগুলি সংযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ১০০ ইউনিট কে-৯ বজ্র সরবরাহ করার জন্য লারসেন অ্য়ান্ড টুবরো ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বরাত পেয়েছিল। সাউথ কোরিয়ার প্রযুক্তিও এই কামানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই গানের ওজন প্রায় ৫৫ টন। ৪৭ কেজি পর্যন্ত বোমা নিক্ষেপ করা যায় এই কামানের মাধ্যমে।
একেবারে জিরো পরিধির মধ্যে চক্কর কাটতে পারে এই কামান। অর্থ্যাৎ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে ঘুরে যেতে পারে এই কে-৯ বজ্র। এর সঙ্গে ভারতের নিজস্ব ফায়ার টেকনোলজিও যুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে লাদাখের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় কে-৯ বজ্রের বেষ্টনী তৈরি করছে সেনা।