ওড়িশার আদিবাসী অধ্যুষিত ময়ূরভঞ্জ জেলা। এই জেলাতেই জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। এবার ভারতীয় রেল রাষ্ট্রপতির গ্রামের কাছাকাছি স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আওতায় এই ট্রেন চালানো হবে।
সূত্রের খবর, যে নতুন ট্রেনগুলি চালানো হচ্ছে সেগুলি হল কলকাতা( শালিমার) বাদামপাহাড় কলকাতা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, বাদামপাহাড়- রৌরকেল্লা-বাদামপাহাড় সাপ্তাহিক এক্সপ্রেস, রৌরকেল্লা- টাটানগর- রৌরকেল্লা এক্সপ্রেস ও টাটানগর- বাদামপাহাড়- টাটানগর এক্সপ্রেস চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী যাদব বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই প্রথম টাটানগর-বাদামপাহাড় রুটে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে।
রৈরাংপুর ও বাদামপাহাড় এগুলি হল রাষ্ট্রপতির দেশের বাড়ি। গ্রামের বাড়ি। এখানেই জীবনের ফেলে আসা দিনগুলি কেটেছে তাঁর। এতদিন সেখানে ট্রেনের যোগাযোগ ছিল না। এবার সেখানেও ট্রেন চলবে।
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা দীর্ঘদিনের একটা দাবি ছিল। সেটাই এবার পূরণ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য এটা বিশেষভাবে কার্যকরী হবে। আদিবাসীদের আর্থ সামাজিক উন্নতিতে এটা কাজে লাগবে। শীঘ্রই এই ট্রেনগুলি চলতে শুরু করবে।
মোটামুটি ট্রেনের যে সময়সূচি তৈরি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে,শালিমার-বাদামপাহাড় শালিমার এক্সপ্রেস শালিমার ছাড়বে প্রতি শনিবার বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে। আর পরের দিন ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে এটা বাদামপাহাড় পৌঁছবে। ফেরার পথে প্রতি রবিবার বাদামপাহাড় থেকে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ছাড়বে। এরপর এটি পরের দিন সকাল ৫টায় শালিমারে পৌঁছবে।
ট্রেনটি সাাঁতরাগাছি, খড়গপুর, ঘাটশিলা, আসানবনি, টাটানগর, বাহালদা রোড, আউলাজোরি ও রৈরাংপুর স্টেশনে থামবে।
বাদামপাহাড়- রৌরকেল্লা বাদামপাহাড় সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসটি প্রতি রবিবার বাদামপাহাড় থেকে ছাড়বে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে। আর রৌরকেল্লা পৌঁছবে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। ফেরার পথে রৌরকেল্লা থেকে ছাড়বে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে। আর বাদামপাহাড় পৌঁছবে সন্ধ্যা ৭ট১ ২৫ মিনিটে।
ট্রেনটি রৈরাংপুর, আউলাজোরি, বাহালদা রোড, টাটানগর, সিনি, চক্রধরপুর, গৈকেরা ও মনোহরপুর সহ একাধিক স্টেশনে থামবে।