তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নকল’ করার ঘটনায় বেজায় চটেছেন রাজ্যসভার উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিজেপি সাংসদরাও আজ, বুধবার পাল্টা প্রতিবাদে সংসদে উঠে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন। তবে এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন জগদীপ ধনখড়। আর সরাসরি বুঝিয়ে দিলেন ব্যক্তি জগদীপ ধনখড়কে অপমান করলে কিছু মনে করবেন না। তবে তাঁর পদ এবং সম্প্রদায়কে অপমান করলে তিনি বরদাস্ত করবেন না। আজ সরাসরি এমনই বার্তা দিয়েছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়।
এই বার্তা দেওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ এই বার্তার পর বিষয়টি প্রতিশোধমূলক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ আজ জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘আমি কিছুই মনে করব কতটা আপনি জগদীপ ধনখড়কে অপমান করলেন তা নিয়ে। কিন্তু আমি সহ্য করব না ভারতের উপরাষ্ট্রপতি, কৃষক সম্প্রদায় এবং আমার সম্প্রদায়কে অপমান করলে। আমি আমার পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারিনি সেটা কখনই সহ্য করব না। এটা আমার কর্তব্য সংসদের মর্যাদা রক্ষা করা।’ তবে এই মিমিক্রি ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসাবে দেখছেন ধনখড়। সুতরাং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক কী হবে সেটা এখনই বোঝা যাচ্ছে না।
এদিকে জগদীপ ধনখড়কে নকল করে যা করেছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে আঁতে ঘা লেগেছে বিজেপি সাংসদদের এবং জগদীপ ধনখড়ের। ওই মিমিক্রি কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী স্মার্টফোনে তোলেন। আর তা ছড়িয়ে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তেই। যা পৌঁছে যায় উপরাষ্ট্রপতির কাছে। তারপরই তিনি ভীষণ চটে যান। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর আজ, বুধবার রাজ্যসভায় এক ঘণ্টা বিজেপি এবং তাদের শরিক দলের সাংসদরা জগদীপ ধনখড়ের সম্মাননা এবং সমর্থনে দাঁড়িয়ে থাকেন। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এমন অঙ্গভঙ্গি করা আচরণের নিন্দা করে ১০৯ জন এনডিএ সাংসদ রাজ্যসভায় প্রতিবাদ জানান। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সকল সাংসদকে দাঁড়াতে আহ্বান করেন।
আরও পড়ুন: যাত্রীসাথী অ্যাপে এবার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা, ভাড়া বেঁধে মানুষের সাহায্যে রাজ্য সরকার
অন্যদিকে এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ফোন করেন উপরাষ্ট্রপতিকে। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। জগদীপ ধনখড়কে সহমর্মিতা জানান মোদী। তারপরই টুইট করে নিজে ব্যথা পেয়েছেন বলে জানান জগদীপ ধনখড়। তবে এই বিষয়ে আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ খুলেছেন। শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের বক্তব্য, ‘মিমিক্রি করা একটা আর্ট। এটা আগেও করেছি। আমি তো এটা লোকসভা বা রাজ্যসভায় করিনি। তার পরেও এটা যদি কেউ নিজের দিকে নিয়ে নেন, তাহলে আমি সত্যিই অসহায়। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সংসদে প্রধানমন্ত্রীকেও মিমিক্রি করেছি।’