যদি বসের নাম হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তবে সেই অফিসে সহকর্মীদের কতক্ষণ কাজ করতে হয় এটা জানলে অবাক হবেন আপনিও। এনিয়ে অনেক দিন আগে পোস্ট করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এবার এনডিটিভিকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এনিয়ে মুখ খুলেছেন।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন একজন বসের সঙ্গে কাজ করতে হলে কীভাবে ছুটি ম্য়ানেজ করেন কিংবা গলফ খেলার সময় পান?
এই প্রশ্নের উত্তরে এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, প্রথমত আমি গলফ খেলি না। দেখুন কূটনীতিকদের নানা ধরনের কাজ করতে হয়। আর একটু ব্রেক নেওয়ার জন্য় তাঁদের নানা পথ নিতে হয়। আমরা মেশিন নয়। আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। সারা বছরে আমায় ৩০-৪০ বার বিদেশ যেতে হয়। আপনি প্লেন থেকে নামলেন, পরের দিন আবার আপনাকে কোথাও একটা যেতে হবে।
জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, রোজ সকালে আমি ব্যাডমিন্টন বা স্কোয়াশ খেলি। নয়তো স্ট্রেচিং করি। যেটা আমায় ফিট রাখবে তেমন কিছু করি। গান শুনি, পড়াশোনা করি। আমার গোটা পৃথিবী সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে। সেকারণেই আমি ফরেন সার্ভিসে এসেছিলাম। বেড়ালেও অনেক জিনিস সম্পর্কে জানা যায়।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মোদী সরকারের আমলে এক সপ্তাহ বা দু সপ্তাহ কোথাও ঘুরে এলাম এটা সম্ভব নয়। এটা প্রথম দিন থেকে আমরা জানি। এটা শুধু মন্ত্রীদের জন্য নয়। যাঁরা সচিব পর্যায়ে চাকরি করেন তাদের বেলাতেও তাই। আমারও তাই হত। অনেকে বলেন টিভিতে দেখলাম আপনাকে বেশ ক্লান্ত লাগছে। আমি কী বলতে পারি। আপনার যদি প্লেন যাত্রা ক্লান্ত লাগে তবে এটা তো হবেই।
ভারতের বিদেশনীতির নানা দিক নিয়ে আলো ফেলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। কীভাবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারত সম্পর্ক রেখে চলে, কীভাবে ভারতের বিদেশনীতির বহু পরিবর্তন হয়েছে এই সময়কালে সেসব তুলে ধরেন তিনি।
মোটের উপর অনেকেই বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছুটি নেন না। দিনের পর দিন ধরে একটানা কাজ করে যান। নিরন্তর কাজ করে যান। আর সেই জমানায় বিদেশমন্ত্রী কতটা ছুটি কাটাতে পারেন তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন রয়েছে। সেকথাই তুলে ধরেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।