মাদুরাই ট্রেনে আগুনের ঘটনা নিয়ে সাউদার্ন রেলের জেনারেল ম্যানেজার শ্রী আরএন সিং, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
এদিকে সেদিনের সেই দুর্ঘটনার পরে রেল কী ব্যবস্থা নিয়েছিল তা নিয়ে জানানো হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর জানার পরেই মাদুরাই ট্যুরিজম বিল্ডিংয়ে দুর্গতদের প্রথমেই নিয়ে যাওয়া হয়। মোটামুটি আটজনকে উদ্ধার করে ডিভিশনাল রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনকে রাজাজি জেনারেল হাসপাতালে কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছিল। মৃতদেহগুলিকেও উদ্ধার করা হয়।
দুর্গতদের মধ্যে দ্রুত খাবার, জল বিলি করা হয়। এসির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পরে তাদের স্থানীয় হোটেলে পাঠানো হয়। সমস্ত পর্যটকরাই ছিলেন লখনউ ও সংলগ্ন এলাকার।
পরের দিন সমস্ত ট্যুরিস্টদের মাদুরাই থেকে বিমানে লখনউতে পাঠানো হয়। এরপর সেখান থেকে তাদের বাড়ি পাঠানো হয়। সেই দিনই স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় দেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়। পরে সেই দেহগুলিকে তাঁদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। মৃতদের নিকটজনের জন্য ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে চেন্নাইতে গিয়েই জেনারেল ম্যানেজার ট্যুরিজম বিল্ডিংয়ে গিয়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ট্যুরিজম বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি হাসপাতালে গিয়ে তিনি আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।
এদিকে জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ট্যুর অপারেটর কামরাতে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছিল। অবৈধভাবে সেগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। জিআরপি এই মামলা করেছে। রেল আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে এই মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে ওই ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ঘটে । সেই ঘটনায় অন্তত ১০ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুনে বিধ্বংস ট্রেনটি একটি পর্যটন ট্রেন ছিল। সেটি মাদুরাই রেল স্টেশনের বাইরে বোড়ি লেনে দাঁড়িয়ে ছিল ঘটনার সময়। সেখানেই অগ্নিকাণ্ড।