বুধবার মলদ্বীপ পৌঁছল ভারতের সিভিলিয়ান টিম। ১০ মার্চের মধ্যে মলদ্বীপ থেকে যাতে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয় সেকারণে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। আর সেই নিরিখে এবার সিভিলিয়ানদের পাঠানো হল মলদ্বীপে। তিনটি বিমান ঘাঁটির মধ্য়ে একটিতে যাবেন ওই সিভিলিয়ানরা।
মলদ্বীপের প্রতিরক্ষা দফতরকে উদ্ধৃত করে স্থানীয় মিডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত রাতে আড্ডুতে একটা ফ্লাইট এসেছে। সিভিলিয়ান টিম এসেছে। তারা ওই দায়িত্বটি নেবেন এবার।
বুধবার নিউজ পোর্টালটি জানিয়েছিল বুধবার পরীক্ষামূলক উড়ান ছাড়বে।একটি হেলিকপ্টার বিকল হয়ে গিয়েছে। সেটিকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এই মাসের ২৮ তারিখে আড্ডু বন্দরে এজন্য একটা জাহাজও আসবে। এদিকে ওখানকার সংবাদমাধ্যমে সেখানকার প্রতিরক্ষা দফতরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দুটি দেশ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অনুসারেই মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্য়াহার করা হবে।
এদিকে মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু সংসদে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছেন, ১০ মার্চের আগেই ভারতীয় সেনাদের মলদ্বীপ থেকে সরানো হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, তিনটি বিমান ঘাঁটিতে সব মিলিয়ে ৮৮জন সেনা রয়েছেন। দুটি হেলিকপ্টার ও একটি বিমানের মাধ্য়মে তাঁরা সেখানকার মানুষদের প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা করেন।
সম্প্রতি প্রায় ফাঁকা সংসদে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু জানিয়েছিলেন, ১০ মার্চের মধ্য়ে ভারতীয় সেনা সরে যাবে। তিনটি বিমান ঘাঁটির মধ্য়ে থেকে একটি থেকে সরে যাবে। এরপর ১০ মের মধ্য়ে বাকি দুটি থেকেও সরে যাবে ভারতীয় সেনা। দেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি নিয়ে মলদ্বীপ আর ভারতের মধ্যে আর কোনও চুক্তি হবে না। আমাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করে এমন কিছু আমরা আর করতে দেব না।
মুইজ্জু যখন বক্তব্য রাখছিলেন তখন প্রধান দুটি বিরোধী দল এমডিপি ও ডেমোক্র্যাটস সেই অধিবেশন বয়কট করেন। ৫৬জন সদস্য সংসদে ছিলেন না। মাত্র ২৪জন সদস্যের সামনে বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
এদিকে স্থানীয় মিডিয়া সূত্রে খবর, এত বড় বয়কট এর আগে মলদ্বীপে হয়নি। এমডিপি ও ডেমোক্র্যাটসরা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে সরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগও শুরু করেছিলেন।
এদিকে মলদ্বীপ থেকে ভারতের সেনা সরানো নিয়ে সম্প্রতি কোর কমিটির মিটিং হয়েছিল। সূত্রের খবর, মুইজ্জু সরকার নানাভাবে চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে চিনের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়ে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমানোর চেষ্টা করছে মলদ্বীপ সরকার।
এর আগে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, দুপক্ষই একটা বিষয়ে রাজি হয়েছে যে ভারত সরকার ১০ মার্চ ২০২৪ এর মধ্য়ে তিনটি বিমানক্ষেত্রের মধ্য়ে যেকোনও একটি থেকে সেনা সরিয়ে নেবে। এরপর ১০ মের মধ্য়ে পরের দুটি বিমান ক্ষেত্র থেকেও সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে। মলদ্বীপের পক্ষ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতেই বলা হচ্ছে মুইজ্জুর দাবি মেনে নিচ্ছে ভারত। ১৫ মার্চের মধ্য়ে মলদ্বীপ থেকে ভারত সমস্ত সেনা সরিয়ে নেবে। তারই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল এবার।