সচরাচর অগ্নিকে সাক্ষী রেখে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করেই বিয়ে করার রীতি চালু রয়েছে সমাজে। তবে সেই চিরাচরিত রীতি থেকে একটু সরে দাঁড়িয়ে নজির তৈরি করলেন ওড়িশার যুগল। বিয়ের আগে থেকেই একটু অন্যভাবে কিছু করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন পাত্র বিজয় কুমার। সেই মতোই সব আয়োজন করা হয়। আর বিয়ের আসরে এসে পাত্রের পরিকল্পনা দেখে দুহাত তুলে আশীর্বাদ করলেন অনেকেই। আসলে অগ্নিসাক্ষী কিংবা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণ করে নয়, একেবারে পবিত্র সংবিধানের নামে শপথ করে বিয়ে করলেন ওই যুগল। নিঃসন্দেহে এক অন্য়রকমভাবে পথ দেখালেন পাত্র বিজয় কুমার ও পাত্রী শ্রুতি। তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তাঁরা। সমাজমনস্কতার ছবি ফুটে উঠল বিয়ের গোটা অনুষ্ঠানেই।
বিয়ের প্রীতিভোজের আসর বসেছিলেন বেরহামপুরে। সেখানে অনুষ্ঠানস্থলের কাছে তৈরি হয়েছিল রক্তদান শিবির। নবদম্পতিও এখানে রক্তদান করেন। এমনতী মরণোত্তর অঙ্গ দানেরও অঙ্গীকার করেছেন দুজনেই। তবে মুক্তমনা এই দম্পতির বিয়ের আসর এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়। উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা পাত্রী জানিয়েছেন, এই বিয়ে নজির তৈরি করবে। তবে গোটা প্রক্রিয়াটা এতটা সহজ ছিল না। পাত্রপক্ষের তরফে তাঁদের পরিকল্পনার কথা পাত্রীপক্ষকে বোঝানো হয়েছিল। তারপরে তাঁরা এব্যাপারে রাজি হন। এদিকে এর আগে পাত্রের দাদাও ২০১৯ সালে একই পদ্ধতিতে বিয়ে করেছিলেন। পরিবারের দাবি, সংবিধান অত্যন্ত পবিত্র। আর সেই সংবিধানে লেখা নৈতিকতা সম্পর্কে সকলের অবগত থাকা দরকার।