ইকবাল আনসারি। নামটা অনেকের কাছেই অপরিচিত। তবে রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ জমি মামলায় তিনি ছিলেন অন্য়তম মামলাকারী। আর সেই ইকবাল আনসারিকেই শনিবার সকালে দেখা গেল অযোধ্য়ার রাস্তায় তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অপেক্ষায়।
শনিবার অযোধ্য়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই নতুন করে গড়ে তোলা রেলওয়ে স্টেশন ও বিমানবন্দরের সূচনা করলেন মোদী। উত্তরপ্রদেশের আরও একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তিনি। জনসভায় তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব ঐতিহাসিক রামমন্দিরের জন্য় অপেক্ষা করে রয়েছে।
আগামী ২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আবেদন জানিয়েছেন উদ্বোধনের দিন সকলের অযোধ্য়ায় আসার দরকার নেই। বাড়িতে প্রত্যেককে প্রদীপ জ্বালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
অযোধ্য়ার এই বিরাট কর্মকাণ্ড নিয়ে ইকবাল আনসারি জানিয়েছেন, তিনি আমাদের এখানে এসেছিলেন। তিনি আমাদের অতিথি। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কনভয়ের উপর গোলাপের পাপড়ি বিছিয়ে দেন তিনি। পাঞ্জি টোলা এলাকায় তিনি অপেক্ষা করছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আসার জন্যই।
এই ইকবাল আনসারি কে?
তাঁকেই রামমন্দিরের ভূমিপুজোর সময় প্রথম আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছিল। তিনি অযোধ্যা জমি মামলায় প্রথম মামলাকারী ছিলেন।
তাঁর পিতা ছিলেন হাশিম আনসারি। তিনি এই বিতর্কিত জমি নিয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে পূত্র ইকবাল এই মামলা এগিয়ে নিয়ে যান।
আনসারি জানিয়েছেন, মোদী অযোধ্য়া দর্শনে এসেছিলেন। এটা অত্যন্ত ভাগ্যের। খবর নিউজ এজেন্সি এএনআই সূত্রে।
আনসারি পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমি মোদীজির গাড়ি যখন আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল তখন গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়েছি। আমার পরিবারও উপস্থিত ছিল।
এদিকে আগে অযোধ্য়ার মুসলিমদের একাংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মসজিদকে তারা অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাবেন না।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্য়ার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছিল Supreme Court। একটি ট্রাস্টের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গেই অযোধ্য়াতেই বিকল্প পাঁচ একর জমিতে মসজিদ তৈরির জন্য় জমি দেখার কথাও বলা হয়েছিল।