শ্বেতা মুরলীধর
ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের চিন্তন শিবিরে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মণিপুরে এই চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি উত্তর পূর্বের ক্রীড়াবিদদের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে উত্তর পূর্বের ক্রীড়াবিদরা ভারতের ক্রীড়াজগতের গর্ব।
প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তর পূর্ব ভারত তথা মণিপুর দেশের ক্রীড়া ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি উত্তর পূর্বের স্থানীয় কিছু খেলার উপর তিনি জোর দেন। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে আন্তর্জাতিকস্তরে বহু খেলায় ভারতীয় খেলোয়াড়ারা উল্লেখযোগ্য সাফল্য এনেছে। আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রককে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে একটি অন্যরকম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগোতে হবে। ক্রীড়া পরিকাঠামো ও ক্রীড়ার প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে আরও ফোকাস করা প্রয়োজন। স্থানীয় স্তরে আরও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তর পূর্ব ভারতে কমপক্ষে দুটি খেলো ইন্ডিয়া সেন্টার করা দরকার। প্রতিটি রাজ্যে খেলো ইন্ডিয়া স্টেট সেন্টার অফ এক্সলেন্স করা দরকার বলেও তিনি মতামত দেন। স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডের ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন ভারতের ভিত্তি স্থাপন করবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন ক্রীড়া ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব ভারতের বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে এই চিন্তন শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ক্রীড়ামন্ত্রীর উপস্থিত ছিলেন। এই চিন্তন শিবিরে বিভিন্ন রাজ্য থেকে অন্তত শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। মূলত দেশ ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও কীভাবে এগিয়ে যাবে, কীভাবে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ও দেশ তৈরিতে উদ্যোগ নেওয়া হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইয়ুথ অ্যান্ড জুনিয়র ওয়েটলিফটিং চাম্পিয়নশিপ, স্কোয়াস ওয়ার্ল্ড কাপ, হকি এশিয়ান চাম্পিয়নশ ট্রফি নিয়েও আলোচনা করেন। মোদী বলেন, খেলার পরিকাঠামো উন্নয়ন, খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উপর আপনাকে জোর দিতে হবে। সর্ট টার্ম, মিডিয়াম টার্ম ও লং টার্ম লক্ষ্যের দিকে আপনাকে এগোতে হবে। মোদী বলেন, বিশ্বের অগ্রগণ্য স্পোর্টস কান্ট্রি তখনই হবে এই ভারত, যখন সার্বিকভাবে এই প্রচেষ্টাগুলো করা হবে।