মঙ্গল গ্রহের বেশ কিছুটা খুঁড়ল নাসার পারসিভেরান্স। কিন্তু শিলার নমুনা সংগ্রহের প্রাথমিক প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে মঙ্গলযানটি। এই শিলার মাধ্যমেই ভবিষ্যতে মিশনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করার কথা নাসার বিজ্ঞানীদের।
শুক্রবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা রোভারের পাশে একটি গর্তের ছবি প্রকাশ করে। এই প্রথম মঙ্গলগ্রহে খনন করল পারসিভেরান্স।
কিন্তু রোভার দ্বারা পৃথিবীতে পাঠানো তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এই নমুনা সংগ্রহ করে একটি টিউবে সিল করে রাখার কথা ছিল।
নাসার সায়েন্স মিশন অধিদপ্তরের আঝিকারিক টমাস জুরবুচেন বলেন, 'যদিও আমাদের আশাপূর্বক ব্যাপারটা হল না, তবুও আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই কাজে অনেকটাই ঝুঁকি রয়েছে।' 'তবে আমি আত্মবিশ্বাস হারাইনি। আমাদের দল এটি নিয়ে পুরোদমে কাজ করছে। ভবিষ্যতে যাতে সফলভাবে নমুনা সংগ্রহ করা যায়, সেই লক্ষ্যে আমরা অবিচল থাকব,' জানান তিনি।
হোল ড্রিল করা নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। পুরো বিষয়টায় প্রায় ১১ দিন সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য মঙ্গলের প্রাচীন হ্রদের জলাশয়ে সংরক্ষিত প্রাচীন মাইক্রোবায়াল প্রাণের লক্ষণ সন্ধান করা। তাছাড়া এর মাধ্যমে মঙ্গলের ভূতত্ত্বের বিষয়েও আরও ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
চলতি বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলের মাটি ছুঁয়েছিল নাসার রোভার পারসিভেরান্স। প্রায় ৬ মাস যাত্রার পর নির্বিঘ্নে মঙ্গলের মাটি ছোঁয় নাসার মঙ্গলযান। বিজ্ঞানীদের ধারণা মঙ্গলের একটি নির্দিষ্ট ক্রেটারে আজ থেকে ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে একটি গভীর হ্রদ ছিল। সেখানে এক সময়ে থাকা মাইক্রোবাল প্রাণের হদিশ পেলেই তা পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার প্রমাণ দেবে।
আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আলাদা একটি মিশনে পার্সিভিয়ারেন্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করা প্রায় ৩০টি নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে নাসার।