দেবব্রত মোহান্তি
এনসিআরবি রিপোর্টে ওড়িশার জন্য় উদ্বেগের খবর। পরপর দু বছর মানব পাচারের ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে ওড়িশা। তার মধ্য়ে নারী পাচারের সংখ্য়াও উল্লেখযোগ্য।
NCRB Report 2022-সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে ওড়িশায় গত বছর সব মিলিয়ে ১১২০ জন পাচার হয়ে গিয়েছেন। তার মধ্য়ে ৫০২জন মহিলা ও ৩৫৩জন শিশু। এরপরই মহারাষ্ট্র ও বিহারের স্থান। ২০২১ সালে এই সংখ্য়াটা ছিল ১৪৭৫। আর ২০২০ সালে সেই পাচারের সংখ্য়া ছিল ৭৪১।
এনসিআরবি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫৮৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নাবালিকাদের পাচারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই রাজ্য়ে। ওড়িশা থেকে সব মিলিয়ে ১৪০জন নাবালিকাকে পাচার করা হয়েছিল বলে খবর। বিহারের পরেই রয়েছে ওড়িশা।
এদিকে গত অগস্ট মাসে সুন্দরগড় জেলার এক মহিলা প্রধান এক গুজরাটি দম্পতির কাছে ৫ লাখ টাকায় এক নাবালিকাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে খবর। এরপর ওই দম্পতি মেয়েটাকে নির্যাতন করত। তাকে পরিচারিকার কাজ করানো হত।
এদিকে ২০০৯ সালে রাজ্য় সরকার মানব পাচার রুখতে বড় পরিকল্পনা নিয়েছিল। ২০১৩ সালে মানব পাচার রুখতে একাধিক ইউনিটও তৈরি করা হয়। কিন্তু তারপরেও এই পরিস্থিতি। কিন্তু এই ধরনের কেন ঘটনা হচ্ছে তা নিয়ে নানা মতামত রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে নিরক্ষতার সুযোগ নিয়ে এইসব কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। অ্যাক্টিভিস্ট বেনুধর প্রধান জানিয়েছেন, জোর করে বিয়ে দেওয়া, জোর করে শ্রমিক হিসাবে কাজ করানো, জোর করে যৌনতায় লিপ্ত করানোর জেরে এই সব হচ্ছে। কারখানায়, খনিতে বাড়ির কাজে তাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে নারী পাচার হলেও বড় কোনও সাজা নেই। অথচ মাদক পাচারে বড় সাজা। সেকারণে এই অপরাধে যুক্ত থাকলেও ভয় পাচ্ছে না অনেকেই। সেকারণে সাজা আরও কড়া করা দরকার। না হলে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে এনসিআরবি রিপোর্ট অনুসারে একেবারে উদ্বেগের খবর ওড়িশার জন্য।