একলাফে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়লেও টান পড়বে না আমজনতার পকেটে! তবে ভর্তুকি যাঁরা পান, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বোঝা তেমন চাপছে না। কারণ রান্নার গ্যাসে কেন্দ্র যে ভর্তুকি দেয়, তা প্রায় ১৪০ টাকার মতো বেড়েছে।
২০২০ সালের বাজেটে এলপিজি বাবদ ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ৩৭,২৫৬.২১ কোটি টাকা করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবর্ষে ছিল ৩৪,০৮৫.৮৬ কোটি টাকা। ফলে বাড়তি ভর্তুকি যে দেওয়া হতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।
এরইমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভারতের বাজারেও দাম বাড়ানো হয়। সাধারণত প্রতি মাসের এক তারিখ পরিবর্তিত দর চালু হলেও এবার তা ১২ দিন পর করা হয়েছে। এক আধিকারিক জানান, একলাফে এতটা দাম বাড়ানোর জন্য ছাড়পত্রের দরকার ছিল। যদিও অপর একটি মহলের মত, দিল্লি ভোটের কারণেই দাম বাড়ানোর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি।
কী কারণ, তা স্পষ্ট না হলেও বুধবার থেকে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে ভর্তুকিও। এক আধিকারিক জানান, বাড়িতে যাঁরা ১৪.২ কেজি ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করেন, তাঁরা অধিক ভর্তুকি পাবেন। এখন বছরে সিলিন্ডার পিছু ১৫৩.৮৬ টাকা করে ভর্তুকি পাওয়া যায়। তা বাড়িয়ে ২৯১.৪৮ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ ১৩৭.৯২ টাকা ভর্তুকি বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফেব্রুয়ারিতে দাম বাড়লেও ভর্তুকির কারণে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে নাা। ফলে আখেরে আমজনতার পকেটে বেশি টান পড়বে না।
যেমন, কলকাতায় ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের দামের দাম ছিল ৭৪৭ টাকা। তা ১৪৯ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮৯৬। বর্ধিত হারে ভর্তুকি দেওয়া শুরু হলে আদতে একজনকে এখনকার থেকে ১১.০৮ টাকা বেশি দামে রান্নার গ্যাস কিনতে হবে। বছরে ১২টি পর্যন্ত সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে এই ভর্তুকি প্রয়োজ্য হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার উপভোক্তাদের ক্ষেত্রেও বেড়েছে ভর্তুকি। আগে সিলিন্ডার পিছু ১৭৪.৮৬ টাকা ভর্তুকি মিলত। তা বেড়ে হচ্ছে ৩১২.৪৮ টাকা।