ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন। ২৪ ঘণ্টা বেপাত্তা থাকার পরে এবার ইস্তফা পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁকে গ্রেফতারের সম্ভাবনা প্রবল বলে খবর। আর সেই জায়গায় এবার চম্পাই সোরেনকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হিসাবে পরবর্তী মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে সূত্রের খবর, আপাতত হেমন্ত সোরেনকে ইডির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ তিনি ইস্তফা পত্র দেওয়ার পরেই তাকে ইডি হেফাজতে নিয়ে নেয় বলে খবর।
সূত্রের খবর. চম্পাই সোরেনকে বিধানসভার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। তার মানে এটা পরিস্কার যে ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন চম্পাই সোরেন। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে এখনও এব্যাপারে চূড়ান্তভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। তবে তাঁর দিকেই পাল্লা ভারী। এদিকে আগে কল্পনা সোরেনের নাম নিয়ে চর্চা হচ্ছিল। তবে এনিয়ে কয়েকজনের আপত্তি ছিল। তারপরই চম্পাই সোরেনের নামটা উঠে আসে।
তিনি বর্তমানে হেমন্ত সোরেন মন্ত্রিসভারই সদস্য। বর্তমানে তিনি পরিবহণ দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সেরাইকেলা বিধানসভা আসন থেকে তিনি জিতেছেন। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার একেবারে পোড় খাওয়া নেতা তিনি।
এদিকে হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেনকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছিল। তবে এনিয়ে দলের অন্দরেই কিছুটা আপত্তি ওঠে বলে খবর। বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে এনিয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের কাছে মুখ খুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি( হেমন্ত সোরেন) চাইছেন তার স্ত্রী পরের মুখ্য়মন্ত্রী হোন। কিন্তু তার ঘরের মধ্যেই তো লড়াই রয়েছে। ২৯জনের মধ্য়ে ১৮জন বিধায়কই চান না যে কল্পনা সোরেন পরের মুখ্য়মন্ত্রী হোন। ১৮জন আবার বসন্ত সোরেনকে মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চান।
সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে বিরাট নাটকীয় ব্যাপার ঝাড়খন্ডে। রাজভবনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন হেমন্ত সোরেন। এরপরই ইডির আধিকারিকরা দ্রুত রাজভবনের সামনে চলে যান।
এদিকে এবার প্রশ্ন উঠছে তবে কি ঝাড়খণ্ডে সরকার পড়ে যেতে পারে? এনিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকার পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনই নেই। তবে আগামীতে কী হবে তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।