বেসরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায় না, সাফ জানাল সুপ্রিম কোর্ট
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Sep 2022, 11:22 PM ISTচিকিৎসক নিগ্রহ নিয়ে মামলার শুনানির সময় এই কথা জানায় শীর্ষ আদালত।
চিকিৎসক নিগ্রহ নিয়ে মামলার শুনানির সময় এই কথা জানায় শীর্ষ আদালত।
বেসরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তা দেওয়ার দায় কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের নয়। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগৃহীত হওয়ার বিষয় নিয়ে মামলার শুনানির সময় এই অবস্থান নেয় শীর্ষ আদালত। বেসরকারি হাসপাতাল যেগুলি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য কোনও সার্বিক আদেশ দেওয়ার আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল ও বিচারপতি এস ওকার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানে বেঞ্চ বলে সরকার কীভাবে বেসরকারি হাসপাতেলর নিরাপত্তা দেবে! তারা তো প্রচুর পয়সা নেয়। নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরা করুক। এর দায় সরকারের ওপর চাপানো অনুচিত। এদিন দিল্লি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হচ্ছিল সর্বোচ্চ আদালতে। সেখানে বলা হয়েছিল হাল আমলে স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের এখানে গাইডলাইনস দেওয়া উচিত ও পদ্ধতি রূপায়ণ করা উচিত যাতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা যায়।
কিন্তু এই দাবি পত্রপাট খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে কীভাবে ঠিক করা হবে কোন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিরাপত্তা পাবে। কোনও বড় রাস্তার প্রতি গলিতে তো এমন মেডিক্যাল সেন্টার আছে। সব কিছু আদালতের ওপর চাপাবেন না, আবেদনকারীর আইনজীবীকে সাফ বলে কোর্ট। এতে আইনি হস্তক্ষেপের কোনও সুযোগ নেই বলে স্পষ্ট করে দেয় আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলে যে প্রত্যেক নার্সিং হোমে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে। কোনও খারাপ ঘটনা হলে সেটা সেই ব্যবস্থায় ত্রুটির জন্যই হয় বলে জানান বিচারপতিরা। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতালে নিরাপত্তার বিষয়টিও কেন্দ্রের বিচার বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত যে আইনসভার দায়রায় প্রবেশ করতে চায় না এদিন সেটা স্পষ্ট করে দেয় সর্বোচ্চ আদালত। এরপর আবেদনকারীর তরফ থেকে সংশোধিত পিটিশন দাখিল করার অনুমতি চাওয়া হয়। সেটায় রাজি হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্ট।