রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। তাঁর মতে, এটার মধ্যে শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়। এদিকে বর্তমানে যে কেউ তাঁর পরিচয় গোপন রেখেও রাজনৈতিক দলকে ডোনেশন দিতে পারেন। এনিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে রঘুরাম রাজনের মতে, এই বিষয়টিও কিছুটা বিভ্রান্তিকর। কারণ বিরোধীদের যদি কেউ পরিচয় গোপন করে অনুদান দেন সেটাও জানতে পেরে যেতে পারে শাসকদল। কারণ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এটা জানা সম্ভব। সেটা শাসকদল জানতে পারে।
তবে রঘুরাম রাজনের মতে, এই বিশেষ সিস্টেমের মাধ্যমে শাসকদলই বিশেষ সুবিধা পায়। এতে বিরোধীদল বিশেষ সুবিধা করতে পারে না। কিন্তু এতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুবিধা পেয়ে যায় শাসকদল। কারণ ইলেকটোরাল বন্ডের গোপনীয়তা কতটা রক্ষা করা হয় তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
এনিয়ে রেড মাইকে মুখ খুলেছিলেন রঘুরাম রাজন। তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে ভোটে লড়া হয়? শাসকদল Clean Money পায় আর বিরোধীদের কালো টাকার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। এসব করতে গিয়ে সরকার কিন্তু সমতা রক্ষা করছে না। এরপর ইডি আর সিবিআইকে ওই সব লোকজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খবর মিন্টের প্রতিবেদন অনুসারে।
এদিকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার এমপি ধীরজ শাহুর হেফাজত থেকে ৩৫১ কোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আয়কর দফতর অভিযানে নেমে এই বিপুল টাকা বাজেয়াপ্ত করে। সেই ঘটনার পরেই এই মন্তব্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের। তবে তাঁর এই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যে নেটপাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।