২৩ মাস বয়সি ভাইঝিকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল কাকার বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ঘটনা। অভিযুক্ত ২১ বছর বয়সি কাকাকে ২০ বছরের জন্য কারাদন্ডের নির্দেশ দিল পকসো আদালত। মুম্বইয়ের শিবাজি নগর থানায় এনিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে জানাজানি হল ব্যাপারটা?
আসলে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে তার মা দেখেন মেয়ের গোপনাঙ্গের কাছে বেশ কিছু Rash বেরিয়েছে। এরপর তিনি স্বামী ও শাশুড়িকে জানান। কিন্তু তারা এড়িয়ে যান বিষয়টি। এরপর তিনি স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যান। তিনি বলেন, এটা সংক্রমণ নয়। এটা যৌন নির্যাতন। এরপর সরকারি হাসপাতালে যান তিনি। সেখান থেকে পুলিশের কাছে জানানো হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। কিন্তু একরত্তির এত বড় সর্বনাশ কে করল?
ওই শিশুর মা পুলিশকে জানান, স্বামী, তার দুই ভাই ও এক বোন ও সন্তানকে নিয়ে তিনি থাকেন। আর এক কাকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তিনি অভিযোগ করেন বাচ্চাটা মাঝেমধ্যে কান্নাকাটি করে। সেই সময় বাড়ির অন্যরা তাকে একতলায় নিয়ে যায়।
এদিকে মা সন্দেহ করতে থাকে তার দেওরের প্রতি। কারণ ১২ নভেম্বর তিনি দেখেন তার মেয়ের গোপনাঙ্গ ফুলে গিয়েছে। আবার ১৮ নভেম্বর অভিযুক্ত মেয়েটিকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর মেয়েটি কাঁদছিল। পরে প্রস্রাব করার সময়তেও বাচ্চাটি কাঁদছিল।
এদিকে শাশুড়ি জানিয়েছিলেন হয়তো মশা কামড়ে দিয়েছে। এরপর চিকিৎকের কাছে যান মা। সেখানে চিকিৎসক সন্দেহ করেন হয়তো শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
তবে পরিবারের দাবি ঘটনাটা পুরো সাজানো হয়েছে।কারণ শিশুর মা বার বার বলতেন ৮ লাখ না দিলে তিনি মামলা করবেন। তাঁদের মতে, বাচ্চাটিকে পরিষ্কার করে রাখা হত না। সেকারণে তার শরীরে সংক্রমণ হয়েছিল। তবে আইনজীবী জানিয়েছিলেন ওই যুবক বৌদিকে চুমু খেতে চেয়েছিল। তার প্রতিশোধ নিতেই এই মিথ্যে কেস সাজানো হয়েছে।
তবে চিকিৎসকের দাবি মেয়েটির যৌনাঙ্গে ৩ মিমি আঁচড় রয়েছে। এটা যৌন নির্যাতনের ঘটনা। চিকিৎক বলেন মশা কামড়ালে ফুলতে পারে। কিন্তু এতটা কেটে যাবে না।