এতদিন ধরে তিলতিল করে সংরক্ষণ করা সম্পদ কিনতে পারবে বিভিন্ন মিডিয়া। কার্যত প্রসার ভারতীর এই পদক্ষেপকে ঘিরে এবার শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক। এবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের এক সাংসদ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি লিখে এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ করলেন। সিপিএম সাংসদ এস ভেন্টাকেসনের দাবি, প্রসার ভারতীর এই পদক্ষেপ একেবারে জঘন্য। এভাবে ঐতিহাসিক সম্পদকে বেচে দিলে দেশের স্থিরতা নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিকে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সেপ্রেসের এডিটোরিয়ার ডিরেক্টর প্রভু চাওলা বলেন, যদি এটা সত্যি হয় তবে ভারতের সংরক্ষিত ইতিহাসকে কীভাবে প্রসার ভারতী বেসরকারি এমনকী বিদেশের কাছে বেচতে পারে? পরে ব্যবহার করতে হলে কি ভারত সরকার বিদেশীদের পয়সা দেবে? ব্রিটিশরা আগের রেকর্ড নিয়ে চলে গিয়েছে। এখন আবার অন্য ব্যাপার। ভেতরে থেকে বহিরাগতদের হয়ে কাজ করছে । টুইট করেছেন তিনি।
এদিকে বিতর্ক উঠতেই প্রসার ভারতীর সিইও শশী শেখর ভেম্পতি জানিয়েছেন, পলিসিকে ঠিকঠাকভাবে বলা হচ্ছে না। এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। একটি সাম্প্রতিক পলিসি হয়েছে যে, কনটেন্ট যেগুলি রয়েছে সেগুলিকে সিন্ডিকেট করা। সেটাকেই এখন অন্যভাবে উপস্থাপিত করা হচ্ছে। তাছাড়া সমস্ত ফুটেজের কপিরাইট তো প্রসার ভারতীর হাতেই থাকছে। তবে স্বাধীনতার আগের সংরক্ষিত কিছু বিষয়কে রাজস্ব আদায় ও ডিজিটালে পরিণত করার জন্য ই- নিলাম করা হবে বলে সূত্রের খবর।