দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে একাধিক সমস্যায় ভোগার পর শনিবার সকালে প্রয়াত হলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। মৃত্যুকালে ৯২ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। আজ শনিবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পরে শোক প্রকাশ করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে ছিলেন।
অবসরের পর থেকেই গুলশানের বাসভবনে পরিবারের সঙ্গে থাকছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। ২০০৫ সালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর বড় ছেলে সিতারা পারভিনের। এরপর ৪০ বছর বয়সে ২০১৮ সালে মারা যান তাঁর স্ত্রী। তারপর থেকেই দুই ছেলের সঙ্গে গুলশানের বাসভবনে তিনি ছিলেন। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে একজন রয়েছে আমেরিকায় এবং অন্য এক মেয়ে রয়েছে ব্রিটেনে। খবর পাওয়ার পরেই তাঁরা বাংলাদেশে চলে আসেন।
১৯৯০ সালে এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলেছিলেন শাহাবুদ্দিন। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বিনা সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন শাহাবুদ্দিন। বলে রাখা ভালো, এর আগে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বও সামলেছেন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেন শাহাবুদ্দিন। এরপর থেকেই নিজের বাসভবনে থাকছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এরজন্য তাঁর নিয়মিত চিকিৎসাও করা হচ্ছিল। অবশেষে আজ সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।