প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট গতকালই অনুমোদন দেয় নারী সংরক্ষণ বিলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিষয়টি ঘোষণা করেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'নারী সংরক্ষণের দাবি পূরণ করার নৈতিক সাহস কেবল মাত্র মোদী সরকারেরই ছিল। এই বিলকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে সরকারের নৈতিক সাহস প্রমাণিত হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীজি এবং মোদী সরকারকে অভিনন্দন।' আর আজ সেই বিল নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। তার আগে এই বিষয়ে সংসদের নিম্নকক্ষে নিজের বক্তব্য রাখেন মোদী। (আরও পড়ুন: 'সবার ওপরে দেশ', কানাডায় খলিস্তানি হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে মোদী সরকারের পাশে কংগ্রেস)
প্রধানমন্ত্রী আজ বলেন, 'নতুন সংসদ ভবনের ঐতিহাসিক ভাবে পথ চলা শুরু করল আজ। এই উপলক্ষে সংসদের প্রথম কার্যক্রম হিসেবে নারী শক্তির প্রবেশদ্বার উন্মোচনকারী গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকার। নারী নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের আমাদের সংকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবিধান সংশোধনী বিল আনছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভায় মহিলাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই বিলটি তৈরি করা হয়েছে। 'নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম' আমাদের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে।'
আরও পড়ুন: 'পুরনো সংসদ ভবনেই বিচার পেয়েছিলেন মুসলিম মা-বোনেরা', বললেন মোদী
প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, 'মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনামলে মহিলা সংরক্ষণ বিল বেশ কয়েকবার উত্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু বিলটি পাশ করার জন্য যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না এবং এর কারণে এই স্বপ্ন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। আজ, ঈশ্বর আমাকে এটিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন... আমাদের সরকার আজ উভয় কক্ষে মহিলাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে একটি নতুন বিল আনছে।'
আরও পড়ুন: নতুন সংসদ ভবনের নাম থেকেও কি মুছতে চলেছে 'ইন্ডিয়া'? গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে 'চমক'
উল্লেখ্য, বিরোধীরা একযোগে দাবি তুলেছিল যাতে সংসদের এই বিশেষ অধিবেশনে নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই বিল পেশ হলে তারা তা সমর্থন করবেন। এদিকে বিশেষ অধিবেশনের জন্য তালিকাভুক্ত বিলগুলির মধ্যে ছিল না নারী সংরক্ষণ বিলের উল্লেখ। তবে গতকাল বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনের পর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের বৈঠক বসে। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মদীর নেতৃত্বে সেই বিলটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে ১০০ মিনিটের ক্যাবিনেট বৈঠকের পর প্রথা অনুযায়ী কোনও সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। এদিকে বিল অনুযায়ী, লোকসভা এবং সব রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৩৩ শতাংশ আসন। এদিকে তফশিলি জাতি বা তফশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত আসনগুলির মধ্যেও একতৃতীয়াংশ সংরক্ষিত থাকবে SC বা ST নারীদের জন্য।