কেন্দ্রীয় সরকারের অদূরদর্শিতার জন্যই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। এমন দাবি করেছিলেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগের ছায়া নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার। নয়াদিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ, মহারাষ্ট্রে সংখ্যাটা ৫৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি–সহ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাবে লকডাউন জারি হয়েছে। সুতরাং আরও একবার পথে পরিযায়ী শ্রমিকরা। দিল্লির আনন্দবিহার বাসস্ট্যান্ডের ছবিটা বলে দিচ্ছে আবার একবার সংকটের সামনে পড়তে চলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর তাই নিয়ে সুর চড়ালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার আবেদন জানালেন ওয়াইনারের সাংসদ।
মঙ্গলবার ট্যুইটারে রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘আবার রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকরা। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তব্য তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া। কিন্তু করোনা ছড়ানোর জন্য জনতার দিকেই দোষারোপের আঙুল তোলা কেন্দ্রীয় সরকার এই ধরনের জন–সহায়তা করবে?’ যদিও এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ মাসে লকডাউন জারি হয়। তখন রাস্তায় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঢল নামে। গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েন তাঁরা। পথেই প্রাণ যায় বহু মানুষের। এই পরিস্থিতি এবার এড়াতে চায় প্রতিটি রাজ্যই। তাই লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বার্তা দেন, দয়া করে দিল্লি ছেড়ে কেউ যাবেন না। যেতে আসতে সময় ও টাকা নষ্ট হবে। আমি আশ্বস্ত করছি এই রাজ্যে আপনাদের কোনও সমস্যা হবে না। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে তাঁদের আর্থিক সাহায্যের কথা স্মরণ করালেন রাহুল গান্ধী।