ওড়িশার বালাসোর দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে এদিন সংসদে প্রশ্ন ওঠে। সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এদিন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে দুই সাংসদের তরফে আসে প্রশ্ন। সিপিআইএম এর জন ব্রিটস ও আম আদমি পার্টির সঞ্জয় সিং এই ইস্যুতে প্রশ্ন করেন। তার জবাবেই বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ সংসদে তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এদিন জানান, সিগন্যালিং, সার্কিট, অলটারেশনে গোলমালের জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রেলমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য বলেন,' মুখোমুখি ধাক্কার কারণ আগেই থেকে যাওয়া সিগন্যালিং-সার্কিট-অলটারেশনে ত্রুটি ছিল নর্থ সিগন্যাল গুমটিতে।' রেলমন্ত্রী বলেন, এর 'কারণে লেভেল ক্রসিং গেট নং ৯৪ গেটের' কাছে সিগনালিংয়ের কাজ চলছিল। গেট নম্বর ৯৪ এর ইলেকট্রিক লিফ্টিং ব্যারিয়ারকে প্রতিস্থাপন করার কাজ চলছিল। এরফলে ট্রেন ১২৮৪১ এর কাছে ভুল সিগন্যাল যায়। সেই সময় আপ হোম সিগন্যাল সবুজ সংকেত দেয়, যাতে মেইন লাইন দিয়ে যেতে পারে গাড়ি। রেলমন্ত্রী জানান, ভুল সিগনালিংয়ের কারণে ট্রেন ১২৮৪১ লুপ লাইনে চলে যায়।মালগাড়ির সঙ্গে লেগে যায় ধাক্কা। এই বক্তব্যের পরই আপের সাংসদ সঞ্জয় সিং প্রশ্ন করেন যে, বালাসোরের দুর্ঘটনার তিন মাস আগে সাউথ ওয়েস্টার্ন রেলের চিফ অপারেটিং ম্যানেজার কি একটি চিঠিতে সেখানের ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের গলতি নিয়ে কিছু বলেন? যার উত্তরে রেল মন্ত্রী বলেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারি সিগন্যালিং রক্ষণাবেক্ষণকারী বা ESM এবং তার সহকারী এবং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেননি যা একটি অস্বাভাবিক অবস্থার দিকে নিয়ে যায়। যা শীঘ্রই একজন লোকো-পাইলট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল, এইভাবে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।
( Video: 'আর নেই দরকার বিজেপি সরকার' BJPরই মিছিলে উঠে এল এই স্লোগানের দৃশ্য)
এছাড়াও রেলমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় যে কতজন যাত্রী ওই বালাসোর রেল দুর্ঘটনায় মারা যান? রেল মন্ত্রী উত্তরে বলেন, ‘ ২৯৫ জন যাত্রী প্রাণ হারান, ১৭৬জন গুরুতর জখম হন, ৪৫১ জন সাধারণ আহত হন এবং ১৮০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ২৫৪ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে; নিহত ৪১ জনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।’ উল্লেখ্য, এদিন সংসদে মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের হইহট্টোগোলের ছবি দেখা যায়। শাসক-বিরোধী পরস্পরকে এজন্য দোষারোপ করতেও ছাড়েনি।