অরুণ কুমার
বহু সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত তিন চার মাস ধরে সঠিক সময়ে পেনশন ও বেতন সঠিকভাবে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে বিহারে। এমন অভিযোগের জেরে বিহারে আম আদমি পার্টির শিক্ষক সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। তারা দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের। দাবি জানিয়েছেন, সমস্যার সঠিক সমাধানের।
আম আদমি পার্টির শিক্ষক সংগঠন AADTA বলছে, 'এটা উদ্বেগের বিষয় যে সরকারি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মীরা বেতন ও পেনশনের টাকা ঠিকভাবে পাচ্ছেন না। গত দুই থেকে চার মাস ধরে তা বাকেয়া রয়েছে। সপ্তম পে কমিশনের অ্যারিয়ারও তাঁরা পাচ্ছেন না। আজ চার বছর হয়ে গেল, তা বকেয়া।' 'অ্যাকাডেমিক ফর অ্যাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট দিল্লি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন' এর তরফে বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন সেক্রেটারি রাজেশ ঝা। তিনি বলছেন, উৎসবের মরশুমে এভাবে সরকারি শিক্ষক ও কর্মীদের বেতন না পাওয়ার ঘটনার দিকে নজর দেওয়া উচিত সরকারের। সমান নজরে এই সমস্ত কর্মীদের সমস্যাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নীতীশ সরকারের বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, 'এনপিএসের আওতায় শিক্ষক ও কর্মীদের মধ্যে ভেদাভেদ করা হচ্ছে। আর তাঁরা তাঁদের বকেয়া পাচ্ছেন না।' এদিকে, বিহারের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের 'এম্প্লয়ার্স ফেডারেশন' এই বিষয়টি নিয়ে নীতীশ কুমারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে।
হিমাচলের ধামি গ্রামে দেবীকে প্রসন্ন করতে এভাবে ছোড়া হয় পাথর! ২ বছর পর ফিরল উৎসব
এদিকে পাটুলিপুত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বলা হয়েছে, যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরকারি কর্মী ও অধ্যাপকদের বেতন নিয়ে এই ভোগান্তিকর পরিস্থিতির দিকে সরকারের 'অসংবেদনশীলতা' নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন যেভাবে উৎসবের মরশুমেও বেতন বকেয়া থেকে গিয়েছে, সেই জায়গা থেকে সরকারের আরও বেশি নদরদারি করা প্রয়োজন ছিল। এদিকে, আরজেডির শিক্ষক সেলের তরফেও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করা হয়েছে। সরকারের শরিক আরজেডি বলছে, 'এটা অবাক করা কাণ্ড যে উৎসবের মরশুমেও বেতনের গুরুত্বের কথা কেউ ভাবছে না।' সবমিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে সরগরম বিহার।