কর্ণ প্রতাপ সিং
একেবারে শিউরে ওঠার মতোই ঘটনা। দক্ষিণ দিল্লিতে একটি নাইট ক্লাব থেকে বেরিয়ে লিফটেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকলেন অন্তত ১০ জন। প্রায় ৬ ঘণ্টা পরে রবিবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, সাউথ এক্সটেনশন মার্কেটে ওই গ্রুপটি একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিল। কোড ক্লাবে নামে ওই নাটই ক্লাবটি একটি বিল্ডিংয়ের তিনতলায় রয়েছে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তারা আটকে পড়েন। এরপর তাদের উদ্ধার করতে প্রায় সকাল সাড়ে ৬টা হয়ে যায়। দমকল দফতরের লোকজন বিল্ডিংয়ের সামনে কাঁচের অংশ ভেঙে তাদের উদ্ধার করেন।
দিল্লি ফায়ার সার্ভিসের ডিরেক্টর অতুল গর্গ জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৫টা ৪২ মিনিট নাগাদ নাইট ক্লাবের তরফ থেকে ফোন করে বলা হয়েছিল কয়েকজন আটকে পড়েছেন। এরপরই টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধারকারী টিম সামনের দিকের কাঁচের অংশ ভেঙে ফেলে। সেখান দিয়ে একে একে মই লাগিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। মই বেয়েই তারা নীচে নেমে আসেন। তবে যারা ওখানে আটকে পড়েছিলেন তারা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্য়ে ছিলেন।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
পুলিশ সূত্রে খবর, নাইট ক্লাবের তরফ থেকেই ওই লিফটটি দেখাশোনা করা হয়। একটি প্রাইভেট কোম্পানি লিফটের দেখাশোনা করে। এদিকে ভোরবেলা সোশ্য়াল মিডিয়ায় ওই আটকে পড়ার ছবি শেয়ার করা হয়। তারপরই পুলিশ জানতে পারে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ(সাউথ) চন্দন চৌধুরী জানিয়েছেন, পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কেউ কোনওরকম ফোন করে জানায়নি। কোতলা মুবারকপুর থানায় ফোন করে কেউ কিছু জানায়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, ক্লাবের মালিক সুরিন্দর সিং ও তার ছেলে সাহিল পরে জানিয়েছিলেন ৮-৯জন ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ লিফটে আটকে পড়েছিলেন। তার মধ্যে তিন চারজন মহিলা রয়েছেন।
ক্লাবের ম্যানেজার শিবম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, আমাদের তরফ থেকে কোনও ভুল নেই। ওরা গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাওয়ার জায়গায় একতলায় গিয়েছিলেন। এরপর ভুল জায়গায় চলে এসেছেন বুঝতে পেরে তারা হাতে করে লিফটের দরজা খোলেন। এরপরই তারা কোনওভাবে লিফটের মধ্য়ে আটকে পড়েন।
এদিকে একতলাটা তখন বন্ধ ছিল। লিফটের দেখভাল যারা করে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর ভোর ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ একজন দমকলে ফোন করেন। ক্লাবের ম্যানেজারের দাবি, পুলিশকে ফোন করা হয়নি কারণ এক্ষেত্রে দমকলকেই প্রয়োজন ছিল।
তবে