আমন সিং
কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার জানিয়ে দিল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে চাকরি পাওয়ার জন্য ঘুষ দেওয়ার ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য় নেই। প্রসঙ্গত গত মাসে অভিযোগ উঠেছিল টিসিএস রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট গ্রুপের গ্লোবাল হেড ইএস চক্রবর্তী বছরের পর বছর ধরে স্টাফিং ফার্মদের কাছ থেকে কমিশন নিয়ে থাকেন।
কংগ্রেস এমপি কড়িকুন্নিল সুরেশ সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন এনিয়ে। সেই প্রশ্নের উত্তরে শ্রম ও কর্মসংস্থার দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানিয়েছেন, মন্ত্রকে তেমন কোনও ঘটনার কথা জানানো হয়নি।
সুরেশ প্রশ্ন করেছিলেন, এই যে অভিযোগ উঠেছে টিসিএসের পদস্থ আধিকারিক ঘুষ খেতেন এনিয়ে কি সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে? সেই প্রশ্নের উত্তরে শ্রম ও কর্মসংস্থার দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি জানিয়েছেন, শ্রম সংক্রান্ত বিষয়গুলি যৌথ তালিকার মধ্য়ে পড়ছে। শ্রম আইনের প্রয়োগ এটা রাজ্য সরকার করে। কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের আওতার মধ্য়ে এটা প্রয়োগ করে।
প্রসঙ্গত টিসিএসের মতো সংস্থা স্টাফিং ফার্ম থেকে কর্মী নেয়। আর সেই ফার্ম আবার ঠিকাদারদের মাধ্য়মে কর্মী নেয়। মিন্টের রিপোর্ট অনুসারে টিসিএসের কয়েকজন পদস্থ কর্তা স্টাফিং ফার্মগুলির কাছ থেকে ঘুষ খাচ্ছেন। তাদের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার বিনিময়ে এই অবৈধ পথ তারা ধরেছেন বলে অভিযোগ। বছরের পর বছর ধরে এটা চলছিল বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল।
তবে ঘুষকাণ্ডের কথা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে টিসিএস। তিন সদস্য়ের কমিটিও তৈরি হয় বিভাগীয় তদন্তের জন্য। তার মধ্য়ে চিফ ইনফরমেশন সিকিউরিটি অফিসার অজিত মেননও রয়েছেন।