একদিকে মার্কিন সংসদে হামলা চালাচ্ছেন তাঁর সমর্থকরা। অন্যদিকে তাদের না রুখে কার্যত প্রশয়সূচক বার্তা দিচ্ছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। তার জেরে এবার কড়া ব্যবস্থা নিল ফেসবুক ও টুইটার। সাময়িক ভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছে তারা।
ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছে টুইটার। তার মধ্যে একটিতে হিংসায় রত বিক্ষোভকারীদের ভালোবাসেন বলে দাবি করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। সেই ভিডিওটি ডিলিট করে দিয়েছে ইউটিউব। ফেসবুক ট্রাম্পের পেজটিকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ডিঅ্যাক্টিভেট করে দিয়েছে।
অন্যদিকে টুইটার বলেছে যে বারংবার তাদের নীতি ভঙ্গ করছেন ট্রাম্প। সেই কারণেই তিনটি টুইট ডিলিট করা হয়েছে। ১২ ঘণ্টা বাদে সেগুলি তিনি ফেরত পাবেন। প্রসঙ্গত, টুইটারেই নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। সেখানে অনেক সময় টুইটারের বিরুদ্ধেই বিষেদগার করেছেন। একই সঙ্গে তোপ দেগেছেন মিডিয়া ও রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার সেই টুইটারেই ১২ ঘণ্টা পোস্ট করতে পারবেন না তিনি। জ্যাক মা-র সংস্থা এটাও বলে দিয়েছে যে ভবিষ্যতে এরকম পোস্ট ফের করলে একেবারে পাকাপাকি ভাবে ট্রাম্পকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে।
এদিন ফেসবুক বলেছে যে ট্রাম্পের পোস্ট কার্যত দুষ্কর্মকে সমর্থন করছে, তাই সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। ফেসবুকের ইনস্টাগ্রামও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ২৪ ঘণ্টার জন্য লক করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলির ওপর চাপ রয়েছে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার জন্যে। ভোটের ফল প্রকাশের পর ট্রাম্প যখন প্রমাণ ছাড়া সেটিকে বেআইনি বলে দাবি করতে শুরু করেন, তখনই সেগুলিকে লেবেলিং করতে শুরু করে টুইটার। তারা বলে যে এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। কিন্তু এবার একেবারে পোস্ট ডিলিটের পথে গেল তারা। ফলে যত সময় গড়াচ্ছে ও ট্রাম্প রাজনৈতিক সৌজন্যের নীতি ভুলে লোক উস্কানোর পথে যাচ্ছেন, ততই কঠোর অবস্থান গ্রহণ করছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি।