বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়িয়ে দিলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা আব্দুল বারি সিদ্দিকি। তিনি জানিয়েছেন,ঠোঁটে লিপস্টিক আর ববকাট চুল নিয়ে এখন ওরা মহিলা সংরক্ষণ বিল চাইতে এসেছেন। বিহারের মজফ্ফরপুরের একটি সভায় তিনি এনিয়ে মন্তব্য করেন। এরপরই এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।
এদিকে আরজেডি ওবিসি মহিলাদের জন্য কোটার দাবিতে আগেই সরব হয়েছিলেন। তার মধ্যে আরজেডি নেতার এই মন্তব্য কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে। আরজেডি নেতার এই মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা সাংসদ কৌশল কিশোর জানিয়েছেন, এসব হল আরজেডির নীচ মানসিকতার লক্ষণ।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার দাবি, এসব হচ্ছে নীচ মানসিকতার লক্ষণ। যে নারীরা সংসদে আসছেন তাঁরা ভোটে জিতে আসছেন। তাঁদের সংবিধান ও আইন সম্পর্কে ধারণা রয়েছে। যেভাবে একটি গাড়ির দুটি চাকা থাকে সেভাবেই নারী ও পুরুষ একযোগে এই সংসদকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এভাবেই তাঁরা দেশকে আরও উন্নত করে তুলবেন।
এদিকে ইন্ডিয়া জোটের মধ্য়েও এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গী জেএমএম সাংসদ মহুয়া মাজি জানিয়েছেন, এই ধরনের মন্তব্য নারীদের সম্মানে আঘাত দেয়। তিনি জানিয়েছেন, আমরা ২১ শতকে বাস করি। এই ধরনের মন্তব্য যেগুলি মহিলাদের আঘাত করে সেগুলি থেকে বিরত থাকা দরকার। আমরা চাই পিছিয়ে পড়া মহিলারা যাতে এগিয়ে আসতে পারেন। আমরা মহিলা সংরক্ষণ বিলে এসসি, এসটি ও ওবিসি মহিলাদের সংরক্ষণের দাবিও রেখেছি।
তবে এর আগে সমাজবাদী পার্টির নেতা প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব জানিয়েছিলেন, এই ধরনের সংরক্ষণ কেবলমাত্র স্বচ্ছল মহিলাদের কাজে লাগবে। তিনি ২০১২ সালে জানিয়েছিলেন বড়ে ঘর কি লরকিয়া ঔর মহিলায়ে কো ফায়দা মিলেগা। হামারি গাঁও কি গরিব মহিলাও কো নেহি।
আর এবার আরজেডি নেতাও বেফাঁস মন্তব্য করে বাজার মাতিয়ে দিলেন। তিনি জানিয়েছেন,ঠোঁটে লিপস্টিক আর ববকাট চুল নিয়ে এখন ওরা মহিলা সংরক্ষণ বিল চাইতে এসেছেন।