হলদিয়া বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের ব্যবসায়ী সংগঠনের বিরুদ্ধে। বুধবার একটি ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই জাহাজ থেকে পণ্য নামানোর সময় নয় নম্বর বার্থে এমন বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চারদিন আগে ১৩ নম্বর বার্থে পণ্য নামানোর সময়েও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ জাহাজ সংস্থার।
এদিন পণ্য নামানোর সময় ক্রেন চালকদের জাহাজ থেকে নেমে যেতে একরকম বাধ্য করা হয়। এর ফলে পণ্য নামানোর সামগ্রিক প্রক্রিয়াই থেমে যায়। অন্য সংস্থাকে টেন্ডার দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে শাসক দলের সমর্থকরা। যদিও এই কাজের জন্য অন্য সংস্থাটি অনেক আগে থেকেই টেন্ডার পেয়েছিল।
বিক্ষোভের পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত সিআইএসএফ-এর তৎপরতায় শ্রমিকদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আনা হয়। এদিন এম ভি আলমেরিয়া নামের জাহাজটির সামনেই ফাইভ স্টার লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেড নামের সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হয় ২০০ জন কর্মী। বর্তমানে এই সংস্থার কাছেই জাহাজে পণ্য উত্তোলন ও নামানোর টেন্ডার রয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এমকে শিপিং অ্যান্ড চার্টারিং কোং ও ফাইভ স্টার লজিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেড যথাক্রমে নয় ও ১৩ নম্বর বার্থে পণ্য নামানোর দায়িত্বে ছিল। দুটি সংস্থাই ফাইভ স্টার গ্ৰুপের অধীনস্থ। অভিযোগ এদের টেন্ডার নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয় বিক্ষোভকারীদের মধ্যে। বন্দরের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জুলাই মাসে তৃণমূলের ব্যবসায়ী সংগঠন একটি সংস্থা গঠন করে পণ্য উত্তোলন ও নামানোর টেন্ডার ওদের দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল।
ফাইভ স্টার গ্ৰুপটি সে সময় এতে রাজি হয়নি। ফলত এখন তাদের বিক্ষোভের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তৃণমূল ইউনিয়নের ‘ভয়’ দেখানোর কারণে কয়েকটি জাহাজ এখনও বন্দরে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অথচ ১৩ নম্বর বার্থটি পণ্য নামানোর জন্য সম্পূর্ণ ফাঁকা।
এদিন ফাইভ স্টার গ্ৰুপের ডাইরেক্টর কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে এই মর্মে চিঠি লেখেন। পাশাপাশি কর্মীদের সুরক্ষার জন্য সিআইএসএফ মোতায়েনের অনুরোধ জানান।
জাহাজের ক্যাপ্টেন আশরাফ শেখ এই চুক্তির কথা উল্লেখ করে নিরাপত্তার দাবিও জানান।যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি শিবনাথ সরকারের মন্তব্য, ঘটনাটি দুজন কন্ট্রাক্টারের মধ্যে হয়েছে। তৃণমূলকে অযথা দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।