‘ইনকিলাব’ দিয়ে শুরু হয়েছে তাঁদের প্রেমের জয়যাত্রা। এক পার্টির মিছিলে আলাপ থেকে প্রেম পরিণতি পেয়েছে বিয়েতে। স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের হাত ধরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে স্বরা ও ফাহাদের। একজন মুসলিমের সঙ্গে একজন হিন্দু ব্যক্তিত্বের বিয়ে ঘিরে এই স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বহুবার জায়গা করে নিয়েছে আলোচনায়। দেখে নেওয়া যাক এই ম্যারেজ অ্যাক্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
1/5 সদ্য বলিউড অভিনেত্রী স্বরা ভাস্করের বিয়ে কেড়েছে খবরের শিরেনাম। স্বরা ভাস্করের অভিনয়জগতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বাইরেও তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শ বিভিন্ন সময়ে কেড়েছে খবরের শিরোনাম। এরপর তাঁর সঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা ফাহাদ আহমেদের বিয়ের খবরে বারবার চর্চায় এসেছে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট।
2/5 ‘ইনকিলাব’ দিয়ে শুরু হয়েছে তাঁদের প্রেমের জয়যাত্রা। এক পার্টির মিছিলে আলাপ থেকে প্রেম পরিণতি পেয়েছে বিয়েতে। স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের হাত ধরে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে স্বরা ও ফাহাদের। একজন মুসলিমের সঙ্গে একজন হিন্দু ব্যক্তিত্বের বিয়ে ঘিরে এই স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট বহুবার জায়গা করে নিয়েছে আলোচনায়। দেখে নেওয়া যাক এই ম্যারেজ অ্যাক্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
3/5 উল্লেখ্য, এই স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪ পাশ হয়েছে ১৯৫৪ সালের ৯ অক্টোবর। এই বিশেষ আইনি ব্যবস্থায়, রাষ্ট্র সম্মতি দেয় বিয়ের ক্ষেত্রে। সেখানে ধর্মীয় ভেদ ছাপিয়ে আসে রাষ্ট্রের সম্মতি। উল্লেখ্য, মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪ বা হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট ১৯৫৪ এর ক্ষেত্রে চলে আসে ধর্মান্তরিকরণের প্রসঙ্গ। আর সেই ধর্মান্তরিকরণ করে তবে বিয়ের বিষয়টি আসে। তবে স্পেশ্যাল ম্য়ারেজ অ্যাক্টের আওতায় তা হয় না।
4/5 স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় ভিন জাতি ও ধর্মের মানুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন। ভারতের সীমায় হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলিম, ক্রিষ্টান, জৈন, শিখ ধর্মের মানুষরা একে অপরের সঙ্গে এই অ্যাক্টের আওতায় বিয়ে করতে পারেন। তবে বিয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু বিধি রয়েছে, যেমন- সম্মতি দুই পক্ষের থাকতে হবে, কোনও এক পক্ষের স্বামী বা স্ত্রী থাকলে এই অ্যাক্টে আবেদন গ্রাহ্য হবে না। এমন বহু বিধি রয়েছে।
5/5 উল্লেখ্য, এই স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় বিবাহে ইচ্ছুক ব্যক্তিত্বদের, অ্যাক্টের সেকশন ৫ এর আওতায় ‘ম্যারেজ অফিসার’এর কাছে লিখিতভাবে বিয়ের আবেদনের নোটিস জানাতে হবে। দুই ব্যাক্তিত্বের মধ্যে যেকোন এক ব্যক্তিত্ব যে জেলায় থাকেন, সেই জেলার ম্যারেজ অফিসারের কাছে এই নোটিস জানাতে হবে ৩০ দিন আগে। একটি ডিক্লারেশন জমা দিতে হবে। তা গৃহিত হলেই বিয়ের দিন ঠিক করে তা নথিবদ্ধ করতে হবে। মিলবে ‘ম্যারেজ সার্টিফিকেট’। এই নথিই বিয়ের প্রমাণযোগ্য নথি হিসাবে বিবেচিত হবে।