সুপার কাপ জেতার পর থেকে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে একেবারে বসন্তের হাওয়া বইছে। ১২ বছর বাদে সর্বভারতীয় টুর্নামেন্টে শিরোপা জয় যেন বদলে দিয়েছে গোটা দলেরববডি ল্যাঙ্গোয়েজ। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও এখনও তুঙ্গে লাল-হলুদের। মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে আরও একটি ডার্বি খেলতে হবে। তাতেও ‘কুছ পরোয়া নেহি’ মনোভাব ইস্টবেঙ্গলের।
শনিবার আইএসএলের বড় ম্যাচ। জাতীয় পর্যায়ে এই মরশুমে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়েছে মোট তিন বার। দু’বার জিতেছে লাল-হলুদ। এক বার সবুজ-মেরুন। শনিবার আইএসএলের প্রথম এবং মরশুমের চতুর্থ বড় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই প্রধান। চলতি মরশুমে ডুরান্ড এবং সুপার কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে আধিপত্য দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধে এখনও আইএসএলে জিততে পারেনি তারা। সেই খরা কাটাতে মরিয়া হয়ে থকাবে ইস্টবেঙ্গল।
দু’দিনের ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। বোরহা আর সিভেরিয়োকে ছেড়ে দিয়েছে লাল-হলুদ। বড় ম্যাচে তাই চার বিদেশি নিয়েই ছক সাজাতে হবে কুয়াদ্রাতকে। যদিও তাঁদের পরিবর্তে দুই বিদেশির নাম লাল-হলুদ ঘোষণা করে দিয়েছে। তারা ভিক্টর ভাসকুয়েজ এবং ফেলিসিয়ো ব্রাউন ফোবর্সকে দলে নিয়েছে। কিন্তু ডার্বিতে তাদের পাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে কার্ড সমস্যায় নেই শৌভিক চক্রবর্তী।
তবে রক্ষণ সামলেই ডার্বিতে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করবেন কুয়াদ্রাত। বৃহস্পতিবার অনুশীলনে ছিলেন না ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। শরীর খারাপ থাকায় এ দিনের অনুশীলনে আসেননি। তবে কোচ কুয়াদ্রাত প্র্যাকটিস শেষে বলে গেলেন, গিলের খেলার ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যের সময়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ছিলেন লাল হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং ফুটবল সচিব সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়। দেওয়া হয়েছে লাল হলুদ রঙের সুসজ্জিত রসগোল্লার হাঁড়িও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ট্রফি তুলে দেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। ১২ বছর পর ট্রফি জয়ের জন্য ইস্টবেঙ্গল কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
একটা সময়ে স্পনসরের অভাবে আইএসএলে টিকে থাকা দুস্কর হয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। কোয়েস সরে যাওয়ার পর কোনও স্পনসর জুটছিল না তাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইমামির সঙ্গে গাঁটছড়া বাধে ইস্টবেঙ্গল। তার পর থেকে ইস্টবেঙ্গল ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
যদিও সময়ের অভাবে গত মরশুমে ভালো দল গড়া সম্ভব হয়নি। যার ফলে সাফল্যও আসেনি। কিন্তু দ্বিতীয় বছরই ১২ বছরের খরা কাটিয়ে সর্বভারতীয় ট্রফি জিতে নিয়েছে লাল-হলুদ। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।