ISL Kolkata Derby: বৈষম্য রাখা যাবে না, ক্রীড়ামন্ত্রী এবং আদালতের হস্তক্ষেপে ডার্বির টিকিট নিয়ে জটিলতা কাটল

ডার্বির টিকিটের দাম নিয়ে যে বৈষম্য দেখা দিয়েছিল, তা গড়াল ক্রীড়ামন্ত্রীর দফতর পর্যন্ত। ক্রীড়ামন্ত্রী আসরে নামতেই জটিলতা কাটল টিকিট নিয়ে।

ডার্বির টিকিট জটিলতা কাটল।

ডার্বি জট কেটেছে গত কয়েক দিন আগেই। তবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকিটের দাম বৈষম্যকে ঘিরে। এবারের আইএসএলের ফিরতি ডার্বির আয়োজনের দায়িত্বে ইস্টবেঙ্গল। ফলে তারা টিকিটের যে দাম ধার্য করেছে তাতে বৈষম্য দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য নূন্যতম টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য নূন্যতম টিকিটের দাম ধার্য করা হয়েছে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণ বেশি দামে মোহনবাগান সমর্থককে টিকিট কিনতে হবে। সব বিভাগেই দামের বৈষম্য রয়েছে।

আর এই ঘটনার পরই চটেছেন বাগান ক্লাব কর্তা থেকে সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের এই ঘটনায় কটাক্ষও করতে ছাড়েননি। এমনকী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়ে দেন, তারা ইস্টবেঙ্গলের থেকে ডার্বির কোনও টিকিট কিনবে না। ডার্বি বয়কটের ডাকও দেন তিনি। এরপরই জানা যায়, পাঁচ বাগান সমর্থক নগর দেওয়ানী আদালতে ইস্টবেঙ্গেলর বিরুদ্ধে মামলা করেন। বাগান সমর্থকদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সেখানে বিচারপতি শান্তনু ঝা জানিয়ে দেন দুই দলের সমর্থকের জন্যই একই দামে টিকিট বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ দামের বৈষম্য করা যাবে না।

ডার্বির টিকিট নিয়ে জটিলতা কাটাতে আসরে নামলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি কথা বলেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তাদের সঙ্গেও। এমনকী ইমামির কর্তাদের সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন ক্রীড়ামন্ত্রী। এরপরই সমস্যার সমাধান হয়। এই প্রসঙ্গে অরূপ বিশ্বাস জানান, 'এটা একেবারেই ঠিক নয়। ফুটবল সবার জন্যই। মাঠ যদি না ভরে তাহলে লাভের লাভ তো কিছুই হবে না। আমি ইস্টবেঙ্গলের ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেই সঙ্গে ফোনে ইমামির কর্তাদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি বলেছি টিকিটের দামের কোনও রকম তারতম্য রাখা যাবে না। ফলে এখন সমস্যা মিটে গিয়েছে। আশা করি রবিবার ভরা স্টেডিয়াম আমরা দেখতে পারব।'

প্রসঙ্গত, এই ডার্বি ম্যাচকে ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। কারণ সেদিনই শাসক দল তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। ফলে নিরাপত্তা জনিত কারণে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ম্যাচ আয়োজনের ছাড়পত্র দিচ্ছিল না। তবে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা বারংবার বৈঠক করেন পুলিশের সঙ্গে। তারপরই সময় পরিবর্তন করে এই ম্যাচ আয়োজনের ছাড়পত্র দেয় পুলিশ। সেই জটিলতা কাটতে না কাটতেই টিকিট নিয়ে সমস্যা। যদিও সেই সমস্যা এখন অনেকটাই সমাধান হয়ে গিয়েছে, বলা চলে। তবে এখানে একটা প্রশ্ন উঠছে, যে সকল মোহনবাগান সমর্থকরা অতিরিক্ত টাকা দিয়ে টিকিট কিনলেন তাদের কীভাবে সেই টাকা ফেরৎ দেওয়া হবে? যদিও এই প্রসঙ্গে এখনও কিছু জানায়নি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।