এবারের তামিলনাড়ু প্রিমিয়র লিগে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ইদ্রিম তিরুপুর তামিজানস। প্রথম দুই ম্যাচের হারের মুখ দেখতে হয়ে টিএনপিএলের এই দলকে। কিন্তু এদিন নিল্লাই রয়্যাল কিংসের বিরুদ্ধে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল তামিজানসরা। পরপর দুই ম্যাচ হারায় আত্মবিশ্বাস তলানিতে ঠেকেছিল তাদের। কিন্তু এই ম্যাচ জেতার ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল বলা চলে।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ইদ্রিম তিপুরের অধিনায়ক চতুর্ভেদ। বিপক্ষ দলকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে শুরু থেকেই চাপে রাখার চেষ্টা করে তারা। আর তাতে সক্ষমও হয়। প্রথম থেকেই ধাক্কা দেয় আইআইটি। যার জেরে বড় রান করতে পারেনি নিল্লাই। বলা ভালো কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে নিল্লাই রয়্যালসের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৮.২ ওভারে ১২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা।
বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন পি ভুবনেশ্বরন। ৩.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। যার ফলে সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারেনি নিল্লাই। দলের হয়ে বড় রান করেন সোনু যাদব। ৩২ বলে ৩৫ রান করেন তিনি। সোনুর ঝুলিতে রয়েছে মাত্র ২টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি।
এই রান যে একেবারেই জয়ের জন্য নিরাপদ নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ম্যাচে ঠিক সেটাই হল। ১২৫ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮.২ ওভারেই জয়ের জন্য দেওয়া রান তুলে নেয় আইআইটি। এদিন শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকেন দুই ওপেনার রাধাকৃষ্ণণ এবং তুষার রাহেজা। এই দুই ব্যাটার দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। রাধাকৃষ্ণণ ৫ টি বাউন্ডারির সৌজন্যে ৩০ বলে ৩৪ রান করেন।
অন্যদিকে তুষার ৪টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে ৪৩ বলে ৪৯ রান করেন। অল্পের জন্য অর্ধশতরান করেন তিনি। এই দুই ব্যাটারই দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়। ফলে আর কোনও ক্রিকেটারকে জয়ের জন্য আলাদা দায়িত্ব নিতে হয়নি। সাত উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় আইআইটি। একই সঙ্গে পরপর দুই ম্যাচ জয়ের পর অবশেষে এবারের মরশুমে প্রথমবার হারের মুখ দেখল নিল্লাই।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।