বর্তমানে আমরা বাস করছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়ায়। মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা, কথা বলার বিকল্প হয়ে উঠছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়েই বহু ইউটিউব ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে এমন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীর মুখ, যারা আসলে সেই বিজ্ঞাপনটিতে অংশই নেননি। এমনই হাজারেরও বেশি ভিডিয়ো শনাক্ত করে মুছে ফেলল ইউটিউব। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় হয়েছিল, এই নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। সে কারণেই এই ধরনের বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োগুলি ডিলিট করল ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে এই ধরনের স্ক্যাম করা হলে তা খতিয়ে দেখার কাজও শুরু করেছে গিয়েছে ইউটিউব।
ভুয়ো ভিডিয়ো চিহ্নিত করার কাজ অনেকদিন ধরেই করছে ৪০৪ মিডিয়া। তাদের তদন্তে উঠে আসে, টেলর সুইফ্ট, স্টিভ হার্ভে, জো রোগানের মতো তারকাদের এআই তৈরি করে ওষুধের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভিডিয়োগুলি ডিলিট করার আগে প্রায় ২০ কোটি মানুষের ভিউ অর্জন করেছিল সেগুলি। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন সেলিব্রিটি ইউটিউবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তারা খতিয়ে দেখে বিষয়টি। সার্বিকভাবে এই বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
এখন দেখার আগামীতে এই ধরনের জাল ভিডিয়ো বন্ধ করা সম্ভব হয় কিনা। বিজ্ঞাপনের ভিডিয়োই কেবল নয়। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন হিংসাত্মক বা বিভিন্ন যৌন হেনস্থার মত ঘটনার ভিডিয়ো, যা কোনও মানুষের অভিনীত বা বাস্তব ফুটেজ নয়। পুরোটাই তৈরি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে গুগল এবং তার অন্তর্ভুক্ত ইউটিউব সংস্থা। ৪০৪ মিডিয়ার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের টেলিগ্রাম গ্রুপে এআই দ্বারা তৈরি মহিলাদের নগ্ন ছবি শেয়ার করছেন। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ডিপ্রেস-এর সর্বশেষ গবেষণা অনুযায়ী প্রায় ৯৬ শতাংশ ডিপফেক ছবি বা ভিডিয়ো মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর সাহায্যে ছবি, অডিয়ো ও ভিডিয়ো তৈরি করা হয়। প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা ছবি ও ভিডিয়োগুলিকে ভাইরাল করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।