লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাপ্য টাকা বহরমপুরের তৃণমূলপ্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হাতে তুলে দিলেন মহিলারা। প্রায় ৫০ জন মহিলা তাঁদের প্রাপ্ত অর্থ তৃণমূল প্রার্থীর হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁদের দান নিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি প্রার্থী। ইউসুফ পাঠান কান্না ভেজা গলায় বলেন,'এই ঋণ কী করে শোধ করব আমি জানি না।'
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লকের রাজধর পাড়া সবুজ সংঘের মাঠে শনিবার প্রচার সভা করেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। সেখানে এলাকার প্রায় ৫০ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে প্রাপ্য টাকা পাঠানের হাতে তুলে দেন। খাম হাতে নিয়ে চোখে জল এসে যায় প্রার্থীর। এমন ঘটনায় আপ্লুত হয়ে পড়েন ইউসুফ পাঠান। তার দেখাদেখি উপস্থিত মহিলাদের চোখেও জল এসে যায়। মহিলারা তাঁকে জানান প্রচারের জন্য এই টাকা তাঁরা প্রার্থীকে দিয়েছেন।
স্থানীয় সীমা মণ্ডল বলেন, 'ইউসুফ পাঠানের প্রচারের খরচের জন্য এই টাকা আমি তুলে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন। ‘BJP কতটা পচা…’. সন্দেশখালিতে ‘সাজানো ধর্ষণের অভিযোগ’-র ভিডিয়ো নিয়ে তোপ মমতাদের
আবেগ তাড়িত তৃণমূল প্রার্থী বলেন, 'উনহোনে জো পিয়ার দিখাইয়া... ইতনা... উনকা এহেসান ম্যায় ক্যায়সে চুকা পাউঙ্গা'( ওঁরা এতো ভালবাসা দিলেন তাঁর প্রতিদান আমি কী ভাবে দেব। )।
এর পর তিনি হুড খোলা গাড়ি করে প্রচারে বেরিয়ে যান।
হেলমেট ছাড়া বাইক র্যালি করে বিতর্কে
হেলমেট ছাড়া বাইক র্যালি করে প্রচার করায় বিতর্কে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। বৃহস্পতিবার বিকেলে কান্দির নতুন পাড়া থেকে বাইপাস মোড় পর্যন্ত বাইক নিয়ে র্যালি করেন ইউসুফ পাঠান।
আরও পড়ুন। ট্রেনে চড়েই মনোনয়ন, রাস্তায় বাম প্রার্থীর পায়ে প্রমাণ, সৌজন্যতা দেখালেন হিরণ
আরও পড়ুন। হাতে সংবিধান নিয়ে, কাড়ায় চড়ে মনোনয়ন জমা দিলেন কুড়মি প্রার্থী অজিত মাহাতো
মোটরবাইক চালিয়ে পাঠান যখন কান্দি শহরে ঘুরছিলেন, সেই সময় তাঁর পিছনের আসনে বসেছিলেন তৃণমূলের বহরমপুর–মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার। বাইক র্যালি করার সময় দু’জনের কারও মাথাতেই ছিল না হেলমেট বলে অভিযোগ। তার পরিবর্তে দু’জনেই ক্যাপ পরেছিলেন।
এই ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপি। তাদের মতে,ইউসুফের আইন ভাঙার প্রবণতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন। ‘তৃণমূল কংগ্রেস তো…’! বিরোধীদের কে কটা আসন পাবে নদিয়ায় ভবিষ্যৎবাণী মোদীর