এবারের লোকসভা নির্বাচনে পাঁচ দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম আসনে লড়ছে সিপিএম। সব মিলিয়ে সারা দেশে পঞ্চাশ আসনে লড়ছে দল। তবে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে দুই অঙ্কে পৌঁছবে সিপিএমের জেতা আসন সংখ্যা।
পড়েছে গ্রাফ
২০১৯ সালে বামেরা পেয়েছিল মাত্র ৩টি আসন। সেবার ৬৯টি আসনে লড়েছিলেন সীতারাম ইয়েচুরিরা। দুদফার ভোট হয়ে যাওয়ার পর দলের রিপোর্ট দেখে এবার তাঁরা আশা করছেন, গতবারের তুলনায় আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৯৩ আসনে লড়েছিল সিপিএম। সেবার তারা ৯টি আসন পেয়েছিল। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই ছবি পাল্টাবে বলে আশাবাদী সিপিএম।
আরও পড়ুন। দু’হাজার টাকায় মহিলাদের ইজ্জত বিক্রি বিজেপির, রাজ্যপাল পলাতক’, তোপ অভিষেকের
ভরসা কেরল
কেরলে গতবার একটি আসন পেয়েছিল সিপিএম। রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় থেকে প্রার্থী হওয়ায় বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছিল কংগ্রেস। সঙ্গে ছিল সবরীমালা ইস্যু। হাতের ধাক্কায় কোণঠাসা হয়েছিল সিপিএম। দলীয় রিপোর্ট বলছে এবার ছবিটা পাল্টাতে পারে। কেরলে ৬ থেকে ১০টি আসন জুটতে পারে তাদের। সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজ্য কমিটি মনে করছে, কেরলে বামেদের ঝুলিতে ৮-১৫ আসন জুটতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে মনে করেছে, সংখ্যাটা ৬-৮ হতে পারে।
দুটি দফা মিলিয়ে ভোট শেষ হয়েছে তামিলনাডু, ত্রিপুরা ও রাজস্থানে। এছাড়া কেরলেও ২০ আসনে দু'দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। দলীয় রিপোর্ট বলছে, তামিলনাডুতে স্ট্যালিনে হাত ধরে দুটি আসন পেতে পারে বামেরা। রাজস্থানে কংগ্রেসের সমর্থনে একটি আসন পেতে পারেন সিপিএম। অন্যদিকে উত্তরের রাজ্য ত্রিপুরাতে কংগ্রেসের সমর্থনে একটি আসন জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন। 'আমার একটা সাইকেলও নেই,' দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে তাঁর জীবনের লক্ষ্য জানালেন মোদী
লোকসভা ভোটের সব খবর পড়ুন এখানে
বাংলার কী হবে?
প্রশ্ন হল বাংলা থেকে থেকে কটি আসন জিততে পারে সিপিএম? এ ব্যাপারে আলিমুদ্দিন থেকে কোনও রিপোর্ট যায়নি ইয়েচুরিদের কাছে। ফলে রাজ্যের আসন সংখ্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করার জায়গায় নেই তাঁরা। বাংলায় এখন শূন্য কাটানোই লক্ষ্য। তাই জয়ের জন্য মহম্মদ সেলিম এবং সুজন চক্রবর্তী বাজির ঘোড়া। সঙ্গে রয়েছে দীপশিখাদের মতো তরুণ তুর্কিরা। এখানেও জোট সঙ্গী কংগ্রেস। এবার কী শূন্যের গেরো কাটবে? নজর সেদিকেই।
আরও পড়ুন। কংগ্রেস নেতার অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারে আলোড়ন, দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তামিলনাড়ুর নেতা