আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। আর তার ৪৮ ঘণ্টা আগে বিজেপি এবং রাজ্যপালকে তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর পক্ষেও সওয়াল করেছেন। পানিঘাটা উমা দাস মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে সভা করে অভিষেক সরাসরি শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেন। এরপরই সন্দেশখালি স্টিং অপারেশনে উঠে আসা তথ্য মানুষের সামনে মেলে ধরেন অভিষেক। এই ঘটনায় বিজেপি এতটাই অস্বস্তিতে পড়েছে যে সবাই মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
এদিকে সন্দেশখালিতে মহিলাদের টাকা দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করানো হয়েছিল বলে সোচ্চার হন অভিষেক। ভিডিয়ো–তে যেসব বিষয়গুলি উঠে এসেছে সেগুলি মানুষের সামনে বলেন অভিষেক। গোটাই যে একটা ষড়যন্ত্র তাও তুলে ধরেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে বিজেপি নেতারা তাঁদের সম্ভ্রম দিল্লির কাছে বিক্রি করে দিয়ে এসেছে। দু’হাজার টাকা নাও আর মিথ্যে ধর্ষণের অভিযোগ করো। আমি বলছি না। গঙ্গাধর কয়াল বলেছেন। সন্দেশখালির ভিডিয়ো দেখেছেন? মহিলাদের দু’হাজার টাকা দিয়ে বিজেপি বলেছে, তাঁদের সম্ভ্রম, ইজ্জত বিক্রি করে দিতে। এদের জবাব দিতে হবে আপনাদের।’
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরে জুনের ক্যারিশ্মায় তৃণমূলে আলোকিত প্রদীপ, তৃতীয় দফার আগে বড় ভাঙন বিজেপিতে
অন্যদিকে রবিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের পদটিকে কলঙ্কিত করেছেন উনি। রাজ্যপাল রাজ্য ছেড়ে পালিয়েছেন। শ্লীলতাহানি করার পর। অমৃতা রায় ভোট চাইতে এলে প্রশ্ন করুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার যে হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা, আপনার অবস্থান কী? কেন্দ্র থেকে যাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করে পাঠানো হয়েছে, তিনি রাজ্যপালের পদটিকে কলঙ্কিত করেছেন। মেয়ের বয়সি একটি বোনের শ্লীলতাহানি করেছেন। থানায় তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। পরদিনই বাংলা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন।’
তবে এখানেই থেমে থাকেননি অভিষেক। সন্দেশখালির এই ষড়যন্ত্র নিয়ে সুর সপ্তমে তুলেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘বসিরহাট থেকে বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্রকে ২০০০ টাকা দিয়ে অভিযোগ করানো হয়েছে। যিনি বলছেন, তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। বাংলাকে যাঁরা কলুষিত করেছেন ক’টা ভোটের জন্য ১৩ মে তাঁদের যোগ্য জবাব দিতে হবে।’ আর রাজ্যপালের শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিজেপি নেতাদের অবস্থান কী? তাও জানতে চেয়েছেন ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।