দেশজুড়ে এখন লোকসভা নির্বাচনের ব্যস্ততা। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট। উত্তরবঙ্গের ৩ টি কেন্দ্রে ভোট হবে ওই দিন। ভোটের কাজে নিযুক্ত থাকবন প্রচুর সংখ্যক কর্মী। তারজন্য কর্মীদের পপ্রশিক্ষণ শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, ভোট গ্রহণের আগেই এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন ভোটের কাজে নিযুক্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকরা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের প্রশিক্ষণের জন্য সেন্টারে হাজির হওয়া সত্ত্বেও বেশ কয়েকজন ভোটকর্মীকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আর কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ভোটকর্মীরা।
আরও পড়ুনঃ ‘মোদী ভাঁওতাবাজ’! আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
ভোটকর্মীদের বক্তব্য, কমিশনের প্রশিক্ষণে হাজির হওয়া সত্ত্বেও তাদের শোকজ করা হয়েছে। তাতে ওই সমস্ত ভোটকর্মীদের গরহাজির বলা হয়েছে। এরপর শাস্তি হিসেবে তাঁদের মপ আপ ট্রেনিংয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরাই তাঁদের এই নির্দেশ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মীরা। তাঁদের বেশ কয়েকজনের বক্তব্য, সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে। অথচ তারাই যদি এরকম ভুল করে তাহলে সুষ্ঠু ভাবে ভোট কীভাবে হবে?
জানা গিয়েছে, গত ২৪ মার্চ আলিপুরদুয়ার শহরের একটি স্কুলে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ ছিল। সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন একাধিক ভোটকর্মী। কিন্তু , তারপরেও বেশ কয়েকজন শোকজ নোটিশ পেয়েছেন। শাস্তি হিসেবে ফের তাঁদের সকাল ১০টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত মপ আপ ট্রেনিংয়ে হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন।
ভোটকর্মীদের বক্তব্য, তাঁরা যে হাজিরা দিয়েছিলেন তার প্রমাণও রয়েছে। কমিশনের খাতায় তাঁদের সই রয়েছে। একজন আবার হাজিরার ছবিও মোবাইলে তুলে রেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এরকম করা হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোট কর্মীরা। শিক্ষকদের সংগঠনের বক্তব্য, শিক্ষকতা ছাড়া শিক্ষকদের অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এই নিয়ে কেন্দ্রের আইন আছে। তবে সেই আইনকে মান্যতা দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। তার ওপর প্রশিক্ষণের জন্য বার বার ডেকে শিক্ষকদের সময় অযথা নষ্ট করা হচ্ছে। তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে। এর তীব্র বিরোধতা করেছে শিক্ষকদের সংগঠন। কমিশনের আধিকারিকরা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিচ্ছেন। যদিও নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে।